ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

মঙ্গলবার থেকে খুলনায় করোনা টেস্ট শুরু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০২০
মঙ্গলবার থেকে খুলনায় করোনা টেস্ট শুরু খুলনা মেডিক্যাল কলেজ।

খুলনা: করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তে খুলনা মেডিক্যাল কলেজে (খুমেক) মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) থেকে পলিমার চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) মেশিনে পরীক্ষা শুরু হবে।

ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য খুমেক সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে করোনা পরীক্ষার কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

খুলনা মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ সহকারী অধ্যাপক ডা. এস এম তুষার আলম বাংলানিউজকে বলেন, খুলনায় মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে করোনা ভাইরাস টেস্ট। খুমেকের তৃতীয় তলায় মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে তৈরি হয়েছে মলি কুলার ল্যাব। এরপর স্থাপন করা হয়েছে পিসিআর মেশিন। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) টিম এসে খুলনার সাতজন চিকিৎসককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এছাড়া ৭০০ কিট এসে পৌঁছেছে খুলনায়। করোনা ইউনিটের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা যাদের স্যাম্পল পাঠাবেন শুধুমাত্র তাদের করোনা টেস্ট করা যাবে। এক সঙ্গে ৯০টির বেশি নমুনা পরীক্ষা করা যাবে। চার ঘণ্টায় জানা যাবে এর ফলাফল।

সোমবার খুলনা সিভিল সার্জন সূত্রে জানা গেছে, খুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ২৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। আর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪১ জন। বিভাগটিতে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ১ হাজার ৯৩৬ জন। আর ছাড়পত্র পেয়েছেন ১ হাজার ৭৫৮ জন।

এদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য প্রস্তুত খুলনা ডায়াবেটিক হাসপাতাল। ডাক্তার-নার্সদের প্রশিক্ষণ শেষে শুরু হয়েছে ডিউটি। শুধুমাত্র আক্রান্ত রোগীদেরই সেখানে ভর্তি করে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। তবে শনাক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত রোগীদের রাখা হবে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ ভবনের ফ্লু কর্নারে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রটি বলছে, খুলনা মেডিক্যাল কলেজে স্থাপিত পিসিআর মেশিনের মাধ্যমে শনাক্ত হলেই কেবল ওই রোগীকে ভর্তি করা হবে ডায়াবেটিক হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে। আর করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য জনবলের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে মহানগরীর রূপসা স্ট্যান্ড রোডের সিএসএস আভা সেন্টারকে। ডাক্তারদের তিনদিন এবং নার্স ও অন্যান্য জনবলকে পাঁচদিন করে করোনার জন্য নির্দিষ্ট আইসোলেশন ওয়ার্ডে (ডায়াবেটিক হাসপাতাল) ডিউটি দেওয়া হয়েছে। প্রতি শিফটে ডিউটি শেষে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, নার্স ও অন্যদের পাঠানো হবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে। তবে যতক্ষণ পজেটিভ রোগীদের সেখানে না নেওয়া হবে ততক্ষণ পর্যন্ত সংশ্লিষ্টদের কোয়ারেন্টিনে নেওয়ার প্রয়োজন হবে না।

খুলনা মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মো. মেহেদী নেওয়াজ বাংলানিউজকে বলেন, করোনা ভাইরাস বিশেষায়িত হাসপাতাল হিসেবে খুলনা ডায়াবেটিস হাসপাতাল প্রস্তুত। মহানগরীর বয়রা নূর নগরে হাসপাতালটি চারটি আইসিইউ বেডসহ মোট ৮০টি বেডের ব্যবস্থা। এছাড়া কয়েকদিনের মধ্যে বাড়ানো হবে আরো ১০টি আইসিইউ বেড।

তিনি বলেন, ৬০ জন চিকিৎসক, ৬০ জন নার্স ও ৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিযুক্ত আছেন সেবায়। প্রয়োজনে হাসপাতালটির বেড ও চিকিৎসক বাড়ানো হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২০
এমআরএম/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।