ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

নারায়ণগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ৮, মৃত্যু ১

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২০
নারায়ণগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ৮, মৃত্যু ১

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ জন করোনা ভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে বলে জেলা সিভিল সার্জন অফিসের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রেবেকা সুলতানা। এসময়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে একজনের।

শনিবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান তিনি। এ সময়ের মধ্যে এ রোগে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির সুস্থ হওয়ার সংবাদ নেই বলে জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে।

জেলায় এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮৬। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনজন ও মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের।

গত ৩০ মার্চ নারায়ণগঞ্জ বন্দরের রসুলবাগ এলাকায় প্রথমবারের মতো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এক নারীর মৃত্যু হয়। পরে গত ৪ এপ্রিল আরও এক আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হয় বাংলাবাজার এলাকায়। এরপর ৫ এপ্রিল শহরের জামতলা এলাকায় একজন ও দেওভোগ আখড়া এলাকায় আরেকজনের মৃত্যু হয়।

৬ এপ্রিল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের শীতলক্ষ্যা এলাকায় একজন এবং রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ার মাসুদাপ্লাজার মালিক মারা যান। ৭ এপ্রিল দেওভোগ এলাকায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় এক গিটারিস্টের। ৮ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলায় এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আদমজী আঞ্চলিক শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি এবং ৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার সস্তাপুরে হয় এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু।

এর আগে ৫ এপ্রিল জেলায় নতুন করে ছয়জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানান সিভিল সার্জন। ৬ এপ্রিল নতুন করে ১২ জন আক্রান্তের সংবাদ জানিয়েছিলেন তিনি। ৭ এপ্রিল জেলায় নতুন করে ১৫ জন আক্রান্ত রোগী শনাক্তের কথা জানায় আইইডিসিআর। ৮ এপ্রিল জেলায় আরও তিনজন শনাক্ত এবং ৯ এপ্রিল ১৩ জন আক্রান্ত হওয়ার সংবাদ জানান সিভিল সার্জন। ১০ এপ্রিল জেলায় নতুনভাবে ১৬ জন আক্রান্তের সংবাদ জানায় আইইডিসিআর।

তারও আগে গত ৮ মার্চ এ জেলায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত দুজনকে শনাক্ত করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। তারা ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। পরে ২৩ মার্চ জেলায় আরও একজন আক্রান্ত পাওয়া যায় বলে জানিয়েছিলেন জেলা সিভিল সার্জন। ওই ব্যক্তিও গত ১ এপ্রিল সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২০
এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।