ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

২৩ এপ্রিলের মধ্যেই প্রস্তুত হবে বসুন্ধরার হাসপাতাল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২০
২৩ এপ্রিলের মধ্যেই প্রস্তুত হবে বসুন্ধরার হাসপাতাল চলছে বসুন্ধরার হাসপাতালের স্থাপনের কাজ। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: চিকিৎসক ও নার্স চেম্বারগুলোর কাজ প্রায় শেষের দিকে। শেষ পর্যায়ে রয়েছে টয়লেট নির্মাণ। বসানো হয়েছে হাসপাতালের এসিগুলো। এসেছে চেয়ার ও রোগীর শয্যা। সব মিলিয়ে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে বসুন্ধরার করোনা হাসপাতাল নির্মাণ কাজ। ফলে নির্ধারিত সময়ের আগেই, ২৩ এপ্রিল হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ শেষ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলীরা।

‘দেশ ও মানুষের কল্যাণে’ এই স্লোগানের আলোয় পথচলা বসুন্ধরা গ্রুপ করোনা ভাইরাসের এই দুর্যোগকালেও দেশ ও জাতির কল্যাণে এগিয়ে এসেছে। দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী বাড়তে থাকায় সম্প্রতি সরকারকে ইন্টারন্যাশনাল কনভেশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) পাঁচ হাজার শয্যার অস্থায়ী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান।

 চলছে বসুন্ধরার হাসপাতালের স্থাপনের কাজ।  ছবি: শাকিল আহমেদবসুন্ধরা গ্রুপের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর আইসিসিবিতে হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শুরু করে ১২ এপ্রিল। ১৫ দিনের মধ্যে হাসপাতালে রূপ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে দিনরাত সমানতালে কাজ চলছে।

শনিবার (১৮ এপ্রিল) নির্মানাধীণ হাসপাতাল চত্বরে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী (ঢাকা সিটি বিভাগ) মো. মাসুদুল আলম কাজের অগ্রগতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন ও নির্ধারিত সময়ের আগেই সম্পন্ন করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এ সময় স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  চলছে বসুন্ধরার হাসপাতালের স্থাপনের কাজ।  ছবি: শাকিল আহমেদমাসুদুল আলম বলেন, ‘আইসোলেশন সেন্টারের ৭৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে আমাদের বেড চলে এসেছে। এসি স্থাপন ও টয়লেট বানানোর কাজ পাশাপাশি চলছে। চিকিৎসক ও নার্সদের কক্ষগুলো তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের আগে ২৩ এপ্রিল হাসপাতালটির নির্মাণকাজ শেষ করতে পারব।

হাসপাতাল নির্মাণে বসুন্ধরা গ্রুপের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী সম্মতির পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সেনাবাহিনীর একটি দল আইসিসিবি পরির্দশন করে। এরপরই সেখানে অস্থায়ী হাসপাতাল বা আইসোলেশন সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কভিড-১৯ বিপর্যয় শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং সরকারের যতদিন ব্যবহারের প্রয়োজন শেষ না হবে ততদিন আইসিসিবি ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছে। চলছে বসুন্ধরার হাসপাতালের স্থাপনের কাজ।  ছবি: শাকিল আহমেদপ্রাথমিকভাবে সেখানে দুই হাজার ৮৪ শয্যার অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরির কাজ করছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। তবে প্রয়োজন দেখা দিলে এটিকে পাঁচ হাজার শয্যায় রূপান্তর করা যাবে। সে কার্যক্রম শুরু হয়ে গেলে বাংলাদেশে এটিই হবে কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য বৃহত্তম সমন্বিত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২০
এসই/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।