ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বাস্তবায়নের পথে বসুন্ধরা হাসপাতাল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২০
বাস্তবায়নের পথে বসুন্ধরা হাসপাতাল বসুন্ধরা হাসপাতালে বসানো হচ্ছে বেড। ছবি: শাকিল আহমেদ।

ঢাকা: করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্তদের চিকিৎসায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি) অচিরেই হাসপাতালে রূপ নেবে। আইসিসিবি ও স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর সেই লক্ষ্যমাত্রা নিয়েই কাজ করে যাচ্ছে। সেবা দেওয়ার জন্য রোগীদের বেড, নার্স ও চিকিৎসকদের চেম্বারসহ বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম প্রয়োজন তার সবগুলোই এখানে আনা হয়েছে। দিনরাত সমানতালে এখন শুধু সরঞ্জামগুলো সেট করা হচ্ছে। 

শনিবার (২৫ এপ্রিল) নির্মাণাধীন হাসপাতাল চত্বরে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর ও ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার কর্মকর্তারা কাজের অগ্রগতি তুলে ধরেন এবং নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করার আশা প্রকাশ করেন। বসুন্ধরা হাসপাতালে বসানো হচ্ছে বেড।                     <div class=

ছবি: শাকিল আহমেদ। " src="https://www.banglanews24.com/media/imgAll/2020April/bg/ICCB-(6)20200425124526.jpg" style="width:100%" />‌‌‘দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী বাড়তে থাকায় সম্প্রতি সরকারকে আইসিসিবিতে পাঁচ হাজার শয্যার একটি অস্থায়ী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান।

প্রাথমিকভাবে এখানে দুই হাজার ১৩ শয্যার অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করার জন্য কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর। তবে প্রয়োজন দেখা দিলে এটিকে পাঁচ হাজার শয্যায় রূপান্তর করা যাবে। এ কার্যক্রম শুরু হয়ে গেলে বাংলাদেশে এটিই হবে কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য বৃহত্তম সমন্বিত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র।

বসুন্ধরা গ্রুপের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর আইসিসিবিতে হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শুরু করে ১৩ এপ্রিল। ১৫ দিনের মধ্যে হাসপাতালে রূপ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর ও বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে দিনরাত সমানতালে কাজ চলছে। ’বসুন্ধরা হাসপাতালে বসানো হচ্ছে বেড।  ছবি: শাকিল আহমেদ। হাসপাতাল চত্বরে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলম বলেন, ‘১৫ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এখানে সব ধরনের সরঞ্জাম চলে এসেছে। এখন শুধু সেট করবো। এই মাসের মধ্যে হাসপাতালটি চালু করার যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল, আশা করি, সেই লক্ষ্যমাত্রার মধ্যেই আছি। বাকি সব সুবিধা পেলে আর হাসপাতাল চালাতে অসুবিধা হবে না। ১ হাজার ২শ বেড এখানে চলে এসেছে। বাকি ৮০০ বেড শনিবারের মধ্যেই চলে আসবে। আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা ১৩ এপ্রিল থেকে কাজ শুরু করেছি। ’

ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এমএম জসিম উদ্দিন বলেন, ‘শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) পর্যন্ত ৭৫০ বেড বসানো হয়েছে। আশা করছি, শনিবারের মধ্যে আরও ৫০০ বেড বসানো হয়ে যাবে। ২০১৩ বেডের হাসপাতাল বাস্তবায়নের পথে। বেড চালু রাখার জন্য যেসব সার্পোটিং সরঞ্জামগুলোও একইসঙ্গে স্থাপন করা হচ্ছে। বেড বসানো শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালের কাজও শেষ হবে বলে আশা করছি। আমরা ২৭ থেকে ২৮ এপ্রিল শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েই কাজ করছি। সেভাবেই কাজ চলছে। ’বসুন্ধরা হাসপাতালে বসানো হচ্ছে রিসিপশন ডেস্ক ।  ছবি: শাকিল আহমেদ। ‘দেশ ও মানুষের কল্যাণে’ এই স্লোগানের আলোয় পথচলা বসুন্ধরা গ্রুপ করোনার এই দুর্যোগকালেও দেশ ও জাতির কল্যাণে এগিয়ে এসেছে। আইসিসিবির দেড় লাখ স্কয়ার ফিটের ট্রেড সেন্টার ও ৫টি কনভেশন হলে হাসপাতাল নির্মাণে বসুন্ধরা গ্রুপের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির ভিত্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও সেনাবাহিনীর একটি দল পরির্দশন করে পরবর্তী সময়ে এটাকে অস্থায়ী হাসপাতাল বা আইসোলেশন স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। কোভিড-১৯ বিপর্যয় শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং সরকারের যতদিন ব্যবহারের প্রয়োজন শেষ না হবে ততদিন আইসিসিবিকে ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২০
এসই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।