ঢাকা, সোমবার, ১৫ পৌষ ১৪৩১, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

সনদ প্রাপ্তির পর রেমডেসিভির বাজারজাত করতে পারবে এসকেএফ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৭ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২০
সনদ প্রাপ্তির পর রেমডেসিভির বাজারজাত করতে পারবে এসকেএফ করোনা ভাইরাস চিকিৎসায় উৎপাদিত ওষুধ রেমডেসিভির

ঢাকা: দেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড গত শুক্রবার (৮ মে) সকাল থেকেই করোনা ভাইরাস চিকিৎসায় তাদের উৎপাদিত ওষুধ রেমডেসিভির বাজারজাত করার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে। তবে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর বলেছে, মার্কেটিং অথরাইজেশন সনদ প্রাপ্তির পরই ওষুধটি বাজারে ছাড়া যাবে।

শনিবার (৯ মে) বিকেলে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের পরিচালক রুহুল আমিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।

এসকেএফ করোনা ভাইরাস চিকিৎসায় তাদের উৎপাদিত প্রতিষেধক রেমডেসিভির বাজারজাতকরণের বিষয়ে যে বক্তব্য দিয়েছে তা নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর কর্তৃক মেসার্স এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডসহ মোট আটটি প্রতিষ্ঠানকে রেমডেসিভির ইনজেকশন উৎপাদনের জন্য রেজিস্ট্রেশন দেয়া হয়েছে।

এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যাল মৌখিকভাবে অবহিত করেছে যে, তারা রেমডেসিভির ইনজেকশনটি উৎপাদন করেছে এবং তাদের ল্যাবরেটরিতে এটির পরীক্ষা ও বিশ্লেষণের কার্যক্রম চলমান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসকেএফ অদ্যাবধি নিয়মানুযায়ী তাদের উৎপাদিত রেমডেসিভির ইনজেকশনের নমুনা পরীক্ষা ও বিশ্লেষণের জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের অধীন ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে দাখিল করেনি। তারা মৌখিকভাবে জানিয়েছে যে, ১০ মে ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে ওই নমুনা দাখিল করবে। ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরি কর্তৃক প্রেরণকৃত নমুনার পরীক্ষার ফলাফল সন্তোষজনক পাওয়া গেলে সেটির অনুকূলে বাজারজাতকরণের জন্য মার্কেটিং অথরাইজেশন সনদ প্রদান করা হবে। মার্কেটিং অথরাইজেশন সনদ প্রাপ্তির পরই প্রতিষ্ঠানটি ওই ওষুধটি বাজারজাত করতে পারবে।

এর আগে শুক্রবার (৮মে) রাতে এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পরিচালক (মার্কেটিং এন্ড সেলস) ড. মুজাহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর ওষুধ রেমডেসিভির উৎপাদন সম্পন্ন করেছে দেশের খ্যাতনামা ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। উৎপাদনের সব প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। বাজারজাত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রস্তুতকৃত স্যাম্পল রোববার ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরিতে(এনসিএল) জমা দেওয়া হবে। সেখান থেকে অনুমোদন পাওয়া গেলে কয়েকদিনের মধ্যেই এটি বাজারে আসবে।

তিনি আরও বলেন, এটির খুচরা মূল্য পড়বে ৫ হাজার ৫০০ টাকা। এই ওষুধ কোন লোকাল ফার্মেসিতে পাওয়া যাবে না। সরাসরি সরকার নির্ধারিত কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে দেওয়া হবে। এই ওষুধ হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের ব্যবহার করা হবে। বাইরের যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের দরকার নেই। শুধু চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী রোগীদের দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০১০৬ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২০
পিএস/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।