ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

দেশের চিকিৎসকদের জন্য আইসিইউগুলো মারাত্মক হটস্পট

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩০ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২০
দেশের চিকিৎসকদের জন্য আইসিইউগুলো মারাত্মক হটস্পট

ঢাকা: করোনা ভাইরাসে (কোভিভ-১৯) আক্রান্তের ক্ষেত্রে আমাদের দেশে চিকিৎসকদের জন্য ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) মারাত্মক হটস্পট বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী।

বাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব একথা বলেন।

তিনি বলেন, আইসিইউতে রোগীদের ভেন্টিলেশন দিতে হয়।

তখন হা করার পরে অ্যারোসল বের হয়। এসময় সার্বক্ষণিক অ্যারোসল বের হতে থাকে। এই অ্যারোসল পুরো কক্ষে উড়তে থাকে।

‘বিদেশি আইসিইউগুলো নেগেটিভ প্রেসার মেইনটেন করে। ভিতরের জীবাণুগুলো বাইরে বের করে দেয়। এরকম আইসিইউ দেশে শুধু সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে আছে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি হাসপাতালে নরমাল আইসিইউ। তাই বাংলাদেশের আইসিইউতে চিকিৎসকরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। আইসিউতে যারা কাজ করছেন তাদের মৃত্যুর হারও বেশি। ’

ইহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, চিকিৎসকদের আক্রান্তের ঝুঁকি প্রথম দিকে ছিল। চিকিৎসক বেশি আক্রান্ত হয়েছেন প্রথম দিকে। বর্তমানে আক্রান্তের ঝুঁকি কমেছে।

‘আমরা বলতে পারি না আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে কিনা। আক্রান্তের যে ট্রেন্ড চলছে, সেটাই ট্রেন্ড অনুযায়ী শুরুতে চিকিৎসকরা যে হারে আক্রান্ত হয়েছিলেন তা অনেকাংশে কমেছে। ’

তিনি বলেন, ১৬ কোটি মানুষের জেনে রাখা উচিত- আমরা এক সেকেন্ডও কাউকে এক্সটেনশন করতে পারবো না। আমরা রোগের উপশমগুলো কমিয়ে রাখতে চেষ্টা করি। ভালো রাখার চেষ্টা করি। সুস্থ রাখার চেষ্টা করি। এখন কার মৃত্যু হবে, চিকিৎসকের মৃত্যু সংখ্যা বাড়বে কিনা, এটা বলা যাবে না। আমরা বলি, যখন কেউ আক্রান্ত হয় তখন তাকে সেবা নিতে, চিকিৎসাসেবা দিয়ে সুস্থ করার চেষ্টা করা হয় মাত্র।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের হিসাব অনুযায়ী তিনি বলেন, এ পর্যন্ত দেশে করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭২ জন চিকিৎসক। এদের মধ্যে ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নার্স ৯৩৮ জন ও ১ হাজার ৪২৭ জন অন্য স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

‘আমাদের দেশে এ পর্যন্ত ৪৪ জন চিকিৎসক মারা গেছেন। এদের মধ্যে ২৪ জন ষাটোর্ধ্ব ও যাদের কোমর্গেটিডি অর্থাৎ হৃদরোগ, শ্বাসকষ্টের রোগ, ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ ইত্যাদির মতো দীর্ঘমেয়াদি রোগ রয়েছে তাদের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বেশ কিছু চিকিৎসক আছেন যারা আইসিইউতে কাজ করেছেন। আইসিউতে কাজ করেন এমন চারজন সিনিয়র এক্সপার্ট আমরা হারিয়েছি। আইসিইউতে কাজ করেন এমন আরো অনেক চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন। ’

বিএমএ মহাসচিব আরো বলেন, প্রথম থেকে চিকিৎসকদের চেম্বার বন্ধ ছিল। পরে চিকিৎসকরা চেম্বার খুলে দিয়েছেন। বিভিন্ন কারণে ঝুঁকি নিয়ে চেম্বারে বসেছেন। এবং তারাই আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা বারবার বলছি, ষাটোর্ধ্ব যারা আছেন তারা ঘর থেকে বেরোবেন না। এখন পর্যন্ত যে সব চিকিৎসক মারা গেছেন তাদের বেশিরভাগই ষাটোর্ধ্ব।  

বাংলাদেশ সময়: ২২২৫ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২০
পিএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।