ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

‘মহামারি যত বড়ই হোক স্বাস্থ্যসেবায় ঘাটতি রাখা যাবে না’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৭ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২০
‘মহামারি যত বড়ই হোক স্বাস্থ্যসেবায় ঘাটতি রাখা যাবে না’

ঢাকা: করোনা ভাইরাস মহামারিকালেও স্বাস্থ্যখাতের সব স্তরে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা সমানভাবে অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, কাজেই মহামারি যতই বড় আকারে থাকুক, মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় কোনো রকম ঘাটতি রাখা যাবে না।

শনিবার (১১ জুলাই) অনলাইন মিটিংয়ের মাধ্যমে ৩১তম বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, গোটা বিশ্বে করোনার তাণ্ডব চলছে।

এর কোনো ভ্যাকসিন ও ওষুধ এখনও বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করতে সক্ষম হননি। তাই বলে করোনার বাইরে মানুষের অন্যান্য রোগ-ব্যাধি তো থেমে থাকবে না। কাজেই মহামারি যতই বড় আকারে থাকুক, মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় কোনো রকম ঘাটতি রাখা যাবে না। দেশের প্রান্তিক অঞ্চল থেকে শুরু করে শহর, গ্রামে সবখানেই এবং স্বাস্থ্যখাতের সব স্তরে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা সমানভাবে অব্যাহত রাখতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী কোভিড-১৯ এর মহাদুর্যোগের সময়ে আজকের সব আয়োজনকে মুজিববর্ষের তাৎপর্যের ওপর উৎসর্গ করে বলেন, আমাদের অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও করোনার কারণে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান, জাতির পিতার নামে মুজিববর্ষকে ঠিকভাবে পালন করতে পারছি না। তাই আজকের জনসংখ্যা দিবসের সব কার্যক্রম মুজিববর্ষের নামেই উৎসর্গ করছি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বর্তমানের করোনা ক্রান্তিকালে দেশের প্রায় ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও হাসপাতালে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ে যে ৫২ হাজার কর্মী নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন, সেজন্য তাদের প্রত্যেককে সাধুবাদ জানান ও মানুষের সেবায় প্রত্যেককে আরও নিবেদিত হয়ে কাজ করে যাবার আহবান জানান।

এবারের দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘মহামারি কোভিড-১৯ কে প্রতিরোধ করি, নারী ও কিশোরীর সুস্বাস্থ্যের অধিকার নিশ্চিত করি’। দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় পর্যায় থেকে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত সীমিত আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে আলোচনা সভা, প্রেস ব্রিফিং, ক্রোড়পত্র প্রকাশ, পুরস্কার বিতরণ, আইইসি ম্যাটেরিয়াল প্রণয়ন ও প্রচার করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে একটি প্রতিপাদ্য সংগীত ও একটি প্রামণ্য চিত্রও তৈরি করা হয়।

স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং ইউএনএফপিএ-এর প্রতিনিধি আশা তোরকাল, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু। অনুষ্ঠানে সুচনা বক্তব্য রাখেন আইইএম শাখার পরিচালক ড. আশরাফুন্নেছা।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২০
এমআইএইচ/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।