ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

সিলেটে একসঙ্গে অক্সিজেন সাপোর্ট পাবেন ৫০০ রোগী

102 | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১১ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২০
সিলেটে একসঙ্গে অক্সিজেন সাপোর্ট পাবেন ৫০০ রোগী

সিলেট: চিকিৎসাসেবায় সক্ষমতা বাড়লো সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের। এবার সেন্ট্রাল পাইপ লাইনের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ পাবে সিলেট বিভাগের প্রধান হাসপাতাল।

এজন্য হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহের সক্ষমতা বাড়াতে স্থাপন করা হয়েছে ৩০ হাজার লিটারের অক্সিজেন ট্যাংক। ইতোপূর্বে ১০ হাজার লিটারের অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছিল।

এবার যুক্ত হচ্ছে আরও ২০ হাজার লিটারের অক্সিজেন ট্যাংক।

মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. ইউনুসুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, খুব শিগগিরই ২০ হাজার লিটারের অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন করা হবে। বর্তমান প্ল্যান্টি ১০ হাজার লিটার ক্ষমতা সম্পন্ন।

এছাড়া শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালেও ১০ হাজার লিটার ক্ষমতা সম্পন্ন অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই তা বাস্তবায়ন করা হবে।

সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশ লাল রায় বাংলানিউজকে বলেন, ৩০ হাজার লিটার অক্সিজেন প্ল্যান্ট সম্পূর্ণভাবে চালু হলে এক সঙ্গে ৫০০ জন রোগীকে অক্সিজেন সরবরাহ করা যাবে। এতে করে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে রোগীদের ভোগান্তি লাঘব হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং শহীদ ডা. শামসুদ্দিন হাসপাতালের অক্সিজেন প্ল্যান্ট বাস্তবায়ন করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট মেইনটেনেন্স বিভাগ। কেবল ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নয়, করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের ৮৩টি হাসপাতালে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এলক্ষ্য ৩৯টি সরকারি হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক স্থাপন হচ্ছে।

এছাড়া মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জসহ ৩০টি হাসপাতালে ইউনিসেফের সহযোগিতায় গ্যাস পাইপলাইন ও অক্সিজেন ট্যাংক বসানো হচ্ছে বলেও জানা গেছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র আরও জানা যায়, মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশের ৮৩টি হাসপাতালে তরল অক্সিজেন ট্যাংক বসানোর কাজ বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের সুচিকিৎসায় জুন ও জুলাইয়ে বিভিন্ন স্তরের হাসপাতালে অক্সিজেন ট্যাংক বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশের বেশিরভাগ হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা ছিল না। সিলিন্ডার দিয়েই সরবরাহ করা হতো। একইভাবে সিলেটে করোনার বিশেষায়িত চিকিৎসা কেন্দ্র শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় অক্সিজেনের সেন্ট্রাল লাইন না থাকায় সরকারিভাবে সিলিন্ডার কিনে সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ফলে একদিন পরপর অন্তত ৩শ’ সিলিন্ডার পরিবর্তন করতে হতো। আর হাসপাতালটিতে দিন দিন করোনা রোগীর চাপ বাড়ায় অক্সিজেন সেবা দিতে অনেকটা কঠিন হয়ে পড়েছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বেসরকারি হাসপাতালে শ্বাসকষ্টে ভোগা রোগীর জন্য অক্সিজেন সেবা অনেক ব্যয়বহুল। সেখানে শহীদ ডা. শামসুদ্দিন হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ রোগীকে টানা ১৫ দিন অক্সিজেন সেবায় রাখতে হয়। এ জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডারের পেছনে সরকারের প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়। তবে ১০ হাজার লিটার অক্সিজেন ট্যাংক স্থাপন করা হলে অক্সিজেন সেবা আরও বাড়বে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন চিকিৎসকরা।  

বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২০
এনইউ/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।