ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

দেশে করোনা পরিস্থিতি দিন দিন উন্নতি করছে: ডা. কনক কান্তি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৬ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২০
দেশে করোনা পরিস্থিতি দিন দিন উন্নতি করছে: ডা. কনক কান্তি

ঢাকা: দেশে পরীক্ষার পরিমাণ কমে গেলেও বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি দিন দিন উন্নতি করছে বলে মনে করছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
 
তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে করোনা টেস্টের পরিমাণ কমে গেছে।

করোনা মোকাবিলা করতে পরীক্ষা সংখ্যা আরো বাড়াতে হবে। দেশে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি দিন দিন উন্নতি করছে বলেও তিনি জানান।
 
সোমবার (২০ জুলাই) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে করোনা নিয়ে গঠিত ‘জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি’র এক অনলাইন বিশেষ কনক কান্তি একথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান।
 
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্তমানে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের মধ্যে কোনো ধরনের সমন্বয়হীনতা নেই। আমরা সবাই এখন একযোগে দেশ সেবার কাজ করে যাচ্ছি।  
 
স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান বলেন, কোভিড হাসপাতালে অনেক সংখ্যক বেড খালি পড়ে রয়েছে। রোগীরা কেন ভর্তি হচ্ছে না সে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে।
 
কমিটির সদস্য সচিব মীরজাদি সাব্রিনা ফ্লোরা জানান, আক্রান্ত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে পরিবার থেকে আলাদা করে হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা গেলে পরিবারের অন্য সদস্যরা এতে কম আক্রান্ত হবেন।
 
বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহীউদ্দিন সিএমএসডি’র পরিচালক ও অন্য মহাপরিচালক পদে কোনো চিকিৎসক কর্মকর্তা রাখা প্রসঙ্গে তার মতামত ব্যক্ত করেন।

একই সঙ্গে তিনি হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা আরো শক্ত অবস্থান থাকবে বলে তার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।  
 
বিএসএমএমইউ’র সাবেক উপাচার্য ও নাক-কান-গলা রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত জানান, হাসপাতালগুলোতে নন-কোভিড রোগীদের সেবা দিতে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। দেশের উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে প্রশাসন বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ, স্কাউটস ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে শক্তিশালী টিম গঠন করতে হবে।
 
সভায় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ টেস্ট সংখ্যা বাড়ানো, বিমানবন্দরে কাস্টমসে জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী প্রবেশে শুল্ক ব্যবস্থা শিথিল করা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে একজন জরুরি ফোকাল পয়েন্ট রাখা এবং সিএমএইচডি’তে জরুরি কাজের সহজ ম্যাকানিজম তৈরির ব্যাপারে পরামর্শ দেন।
 
সভায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব বক্তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং সভাপতির বক্তব্যে কমিটির সবাইকে আশ্বস্ত করেন যাতে তারা নতুন উদ্যোমে দেশের এই ক্লান্তিলগ্নে দেশের পাশে থাকেন এবং নিয়মিত পরামর্শ দেন।
 
জাতীয় পরামর্শক কমিটির সব পরামর্শ এখন থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে এবং পরামর্শগুলি নোট করে ঊর্ধ্বতন মহলে পাঠানো হবে বলেও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জানান।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২০
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।