ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ঢামেকের পাশের দোকান থেকে চিকিৎসাসামগ্রী জব্দ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৬ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২০
ঢামেকের পাশের দোকান থেকে চিকিৎসাসামগ্রী জব্দ চিকিৎসাসামগ্রী জব্দ করা হচ্ছে।

ঢাকা: ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল সংলগ্ন সিটি কর্পোরেশন মার্কেটের একটি কার্টনের দোকান থেকে তিন কার্টন চিকিৎসাসামগ্রী জব্দ ও আরিফ (২৫) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।  

বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও পুলিশ সদস্যদের সহায়তায় ওই সামগ্রীগুলো জব্দ করা হয়।

এনএসআই সূত্রে জানা যায়, ঢামেক হাসপাতালের স্টোর থেকে ওই সামগ্রীগুলো পাচার করা হয়েছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে সকাল থেকে অভিযানে ছিল তারা। দুপুরে হাসপাতাল সংলগ্ন কার্টনের দোকান থেকে জেএমআই কোম্পানির দুই কার্টনে এক হাজার আটশ পিস হ্যান্ড-গ্লাভস জব্দ করা হয়েছে। যার মূল্য হবে প্রায় ৪০ হাজার টাকা ও এক কার্টন ক্যাথেটার, যার মূল্য প্রায় ১০ হাজার টাকা।

গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা গেছে, ঢামেক হাসপাতালে ব্যবহৃত একটি পিকআপভ্যান থেকে জিনিসগুলো ওই দোকানে নামানো সময় ওই সামগ্রীগুলো জব্দ করা হয়। সোবহানের কার্টনের দোকান বলে দোকানটি পরিচিত সবার কাছে। ঘটনার সময় দোকানে তিনি ছিলেন না। দোকানে থাকা খালি সবগুলো কার্টনই হাসপাতালের।

দোকান মালিক সোবহানের ভাই মুরাদ ঢামেক হাসপাতালে অস্থায়ীভিত্তিতে চাকরি করেন। তার সহায়তায় সামগ্রীগুলো দোকানে যায় বলে ধারণা করছে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
  
শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল উদ্দিন মুন্সি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় কার্টনের দোকান থেকে আরিফ নামে একজনকে আটক ও কিছু সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে। তবে সামগ্রীর গায়ে ঢামেকের কোনো লোগো ছিল না। তবে ধারণা করা হচ্ছে, সিল মারার আগেই তা পাচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন বলেন, জব্দ হওয়া চিকিৎসাসামগ্রীগুলো জেএমআইয়ের কোম্পানির হলেও আমাদের হাসপাতালের কোনো লোগো ছিল না। ওই কোম্পানি থেকে গত একমাস ধরে আমরা কোনো হ্যান্ড-গ্লাভস নেওয়া হয়নি। আমরা অন্য কোম্পানি থেকে সেগুলো নিয়েছি। চিকিৎসাসামগ্রী জব্দ করার সময় ঢামেকের কোনো প্রতিনিধিকেও পাওয়া যায়নি। বাইরের একজনকে আটক করেছে। দোকানটিও  হাসপাতালের বাউন্ডারির বাইরে। তবুও আমরা তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছি। আমাদের হাসপাতাল থেকে কার্টনটি পাচার হয়েছে কিনা এই তদন্ত কমিটি ঈদের পরপরই আমাদের কাছে রিপোর্ট দেবে। রিপোর্ট পেলে আমরা জানতে পারবো আমাদের হাসপাতাল থেকে কার্টন গেছে কিনা। তবে আমাদের হাসপাতাল থেকে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

 

বাংলাদেশ সময়: ২৩২৪ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২০
এজেডএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।