ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য তন্ময়ের ‘স্মার্ট ব্লাইন্ড স্টিক’

গণ বিশ্ববিদ্যালয় করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২০
দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য তন্ময়ের ‘স্মার্ট ব্লাইন্ড স্টিক’ দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের চলাফেরায় সাহায্যের জন্য তন্ময় রায় (বামে) উদ্ভাবন করেছে ‘স্মার্ট ব্লাইন্ড স্টিক’।

ঢাকা: দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের চলাফেরায় সাহায্যের জন্য অত্যাধুনিক সুবিধা সম্পন্ন ‘স্মার্ট ব্লাইন্ড স্টিক’ উদ্ভাবন করেছেন সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তন্ময় রায়।

মেডিক্যাল ফিজিক্স অ্যান্ড বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শেষ বর্ষের বিভাগীয় প্রজেক্টের অংশ হিসেবে এ কাজ বেছে নেন তন্ময়।

প্রায় সাত মাসের প্রচেষ্টায় এ কাজ সম্পন্ন করেন তিনি।

সোমবার (১৭ আগস্ট) গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন এ উদ্ভাবনের বিষয়টি প্রকাশ করে তন্ময় ও তার দলকে শুভেচ্ছা জানায়।

তন্ময়ের এ স্টিক চলার সময় দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের সামনে কোনো বাঁধা থাকলে সংকেত দেবে তারবিহীন হেডফোনের মাধ্যমে, যা কাজ করবে আল্ট্রাসোনোমিটারের সাহায্যে। এছাড়া, রাস্তার কোথাও উঁচু-নিচু থাকলে, সেটিও সংকেত দিয়ে চোখে দেখতে না পাওয়া ব্যক্তিকে জানিয়ে দেবে এ স্টিক।

এতে জিপিএস সিস্টেম থাকায় যদি কোনো অন্ধ ব্যক্তি হারিয়ে যান, তার লোকেশন ট্র্যাক করে তাকে খুঁজে পাওয়া যাবে। এতে ওয়াটার সেন্সর থাকায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর চলাচলের পথে পানি থাকলে, স্টিক তাকে সতর্ক করে দেবে।

এছাড়া, এ স্টিকের পালস সেন্সরের মাধ্যমে একজন অন্ধ ব্যক্তির পালসও পরিমাপ করা যাবে। আর জরুরি বোতামের মাধ্যমে ব্যবহারকারী সাহায্যের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন খুব সহজেই।

জানা যায়, চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি থেকে কাজ শুরু করা এ ডিভাইসটি তৈরিতে প্রায় ১৭ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। তবে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা হলে এক থেকে দেড় হাজার টাকায় সাধারণ মানুষের কাছে এটি পৌঁছানো যাবে। তন্ময়ই প্রথম বাংলাদেশে এ ধরনের ডিভাইস তৈরি করেছেন।

তন্ময় বলেন, ‘দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য কিছু করতে পেরেছি বলে আমি অত্যন্ত খুশি। তাদের চলাফেরায় এ ডিভাইসটি অনেক সহায়তা করবে। অন্ধ ব্যক্তিরা এ স্টিক নিয়ে ঘর থেকে বের হলে পরিবার নিশ্চিন্তে থাকতে পারবে। ’

ডিভাইসটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন বিভাগের সাবেক প্রধান ও প্রজেক্টের সুপারভাইজার ড. গোলাম আবু জাকারিয়া, বর্তমান বিভাগীয় প্রধান ড. হাসিন অনুপমা আজহারী এবং কো-সুপারভাইজার নাজমুল আলীম। এছাড়া এ কাজে সাহায্য করেছেন তন্ময়ের সহপাঠী মাহবুব আল মামুন ও উজ্জ্বল সরকার নামে এক পরামর্শক।

এ বিষয়ে ড. হাসিন অনুপমা আজহারী বলেন, ‘আমাদের মেডিক্যাল ফিজিক্স সেক্টরের কাজই হলো সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি ব্যবহারের মধ্য দিয়ে মানবজীবনকে সহজ করে তোলা। আমরা এ প্রযুক্তির সাহায্যে নতুন কিছু তৈরি করতে শিক্ষার্থীদের সব সময় উৎসাহিত করি এবং সহায়তা দেই। এ ব্লাইন্ড স্টিক তারই ফসল। তন্ময়কে আন্তরিক অভিনন্দন। ’

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২০/ আপডেট: ১৬০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২০
এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।