ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুনের মুক্তি চেয়ে বিএমএ'র বিবৃতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২০
ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুনের মুক্তি চেয়ে বিএমএ'র বিবৃতি

ঢাকা: জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুনের মুক্তি চেয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)।  

বুধবার (১৮ নভেম্বর) বিএমএ'র সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এবং মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরীর সই করা বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজধানী একটি প্রাইভেট মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পুলিশের এএসপি আনিসুল করিমের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ১৭ নভেম্বর গ্রেফতার করায় বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, গত ৯ নভেম্বর আনিসুল করিমকে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তার পরিবারের সদস্য ও পুলিশ সহকর্মী সহকারে চিকিৎসার জন্য আসেন। জরুরি বিভাগের কর্মরত চিকিৎসক তাকে চিকিৎসা দিয়ে অবজারভেশনে রাখেন এবং পরবর্তীতে আবাসিক সাইক্রিয়াটিক (সহকারী অধ্যাপক) এর দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। কিন্তু রোগীর স্বজনরা এ হাসপাতাল ভর্তি না করে নিজ দায়িত্বে প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যান এবং সেখানে ভর্তির পর তার মৃত্যু হয়।

চিকিৎসকদের জাতীয় এ সংগঠনের সভাপতি এবং মহাসচিব তাদের বিবৃতিতে জানান, আনিসুল করিম মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট হাসপাতালে মারা যাননি এবং এ প্রতিষ্ঠানের কোনো চিকিৎসকের কোনোও সংশ্লিষ্টতাও নেই।

এ ঘটনায় ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়া সম্পূর্ণ কল্পনাপ্রসূত, অযৌক্তিক, অন্যায় ও হয়রানিমূলক।

তারা জানান, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে একজন সরকারি চিকিৎসক কর্মকর্তাকে এভাবে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়ায় দেশের সব চিকিৎসককে সংক্ষুব্ধ করেছে। মহামান্য আদালতের নির্দেশনা ব্যতিরেকে সম্পূর্ণ কাল্পনিক অভিযোগের ভিত্তিতে একজন সহকারী চিকিৎসক কর্মকর্তাকে এভাবে গ্রেফতার অব্যাহত থাকলে স্বাভাবিক চিকিৎসা ব্যবস্থা ব্যাহত হতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ০২৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২০
পিএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।