ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

জামালপুরে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, দুর্ভোগে রোগীরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২০
জামালপুরে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, দুর্ভোগে রোগীরা চিকিৎসকদের কর্মবিরতি। ছবি: বাংলানিউজ

জামালপুর: রোগী মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলার প্রতিবাদে জামালপুরে শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ জেলার সাতটি উপজেলায় কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে চিকিৎসকরা।

এতে চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন রোগীরা।

এভাবে চলতে থাকলে খুব কম সময়ের মধ্যে মানবিক বিপর্যয় দেখা দেবে।

গত শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) অক্সিজেনের অভাবে এক রোগীর মৃত্যু হলে রোগীর স্বজনরা চিকিৎসকদের ওপর হামলা চালায়। এতে তিন চিকিৎসকসহ ১০ জন আহত হয়।

এদিকে শুক্রবারের ঘটনায় শনিবার রাতেই সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শুক্রবার থেকে দফায় দফায় আলোচনা সভা করে ফলপ্রসু সমাধান না হওয়ায় এ ধরনের কর্মবিরতি দেওয়া হয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চিকিৎসকরা জানান।

এ নিয়ে শনিবার রাতে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে জামালপুর সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, হাসপাতালে হামলার ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলাও দায়ের করা হবে। একইসঙ্গে শনিবার অনুষ্ঠিত জরুরি বৈঠকে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

দুজন চিকিৎসককে নির্যাতন করার প্রতিবাদে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসাসেবা থেকে বিরত থাকা প্রসঙ্গে সহকারী পরিচালক জানান, হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম যাতে স্বাভাবিক হয়ে আসে তা নিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম খান জানান, রোগীর স্বজন ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মধ্যে সংঘর্ষ থামাতে এবং চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এ ঘটনায় হাসপাতালের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হলে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

বৈঠকে স্থানীয় সরকার বিভাগ জামালপুরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ কবীর উদ্দিন, শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ জামালপুরের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. শ্যামল কুমার সাহা, পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন, সিভিল সার্জন প্রণয় কান্তি দাস, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ছানোয়ার হোসেন, সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, ইন্টার্ন চিকিৎসক রিয়াদ মাহমুদ বক্তব্য রাখেন।

জানা যায়, শুক্রবার রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসকের অবহেলার অভিযোগকে কেন্দ্র করে রোগীর স্বজনের সঙ্গে চিকিৎসক ও ইন্টার্নদের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাসপাতাল ভাঙচুর, হাতাহাতি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমানসহ সাত ইর্ন্টান চিকিৎসককে আটক করে সদর থানা পুলিশ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।