ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

২৬ জানুয়ারি থেকে নিবন্ধন, ফেব্রুয়ারির শুরুতে টিকাদান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২১
২৬ জানুয়ারি থেকে নিবন্ধন, ফেব্রুয়ারির শুরুতে টিকাদান

ঢাকা: ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে যে কোনো একদিন বেক্সিমকোর মাধ্যমে দেশে করোনার টিকা আসবে। আর ২৬ জানুয়ারি থেকে টিকার জন্য নিবন্ধন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

সোমবার ( ১১ জানুয়ারি) বিকেল সোয়া ৪টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক একথা জানান। এসময় টিকা বিতরণ কর্মসূচির বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন টিকা বিতরণ কমিটির সদস্য অধ্যাপক শামসুল হক।

আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, চুক্তি অনুযায়ী ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ৫০ লাখ ডোজ টিকা সরকারিভাবে নির্ধারিত ইপিআই কোল্ড স্টোরেজে পৌঁছানোর দায়িত্ব পালন করবে বেক্সিমকো। ২৭ তারিখের মধ্যে জেলা পর্যায়ে এ টিকা পৌঁছাবে। আর ফেব্রুয়ারির শুরুতে টিকা পাবে দেশের মানুষ।

‘প্রথম ডোজ দেওয়ার ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে। তবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার নতুন তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ডোজ দেওয়ার দুই মাস পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যাবে। গতকাল নতুন নিয়ম জানার পর আমরা পরিকল্পনায় পরিবর্তন এনেছি। এ কারণে প্রথম মাসেই একসঙ্গে ৫০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। প্রথম যে ৫০ লাখ টিকা আসবে তা দিয়ে দেওয়া হবে। দুই মাসের মধ্যে আরও টিকা চলে আসবে।

ভ্যাকসিনেশনের সেন্টার
উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ইউনিয়ন পরিষদ, জেলা সদর হাসপাতাল, সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, পুলিশ-বিজেপি হাসপাতাল ও সিএমএইচ, বক্ষব্যাধি হাসপাতালে টিকা দেওয়া হবে। টিকা দেওয়ার জন্য সাত হাজার ৩৪৪টি দল তৈরি করা হয়েছে। একটি দলের মধ্যে ছয়জন সদস্য থাকবে। এর মধ্যে দু’জন টিকাদানকারী (নার্স, স্যাকমো, পরিবারকল্যাণ সহকারী) ও চারজন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন।

কোল্ড চেইন ধারণক্ষমতা
৬৪ জেলার ইপিআই স্টোর (ডব্লিউআইসি/আইএলআর), ৪৮৩টি উপজেলার ইপিআই স্টোর (আইএলআর)। একেকটি ডব্লিউআইসি কোল্ড স্টোরে এক লাখ থেকে চার লাখ ২৫ হাজার ডোজ টিকা রাখা যাবে। আইএলআর স্টোরে রাখা যাবে সাত হাজার একশ ডোজ টিকা। কোল্ড বক্সে ৯শ ডোজ টিকা পরিবহন করে নেওয়া যাবে।  

তাছাড়া কোভিড-১৯ টিকা সংরক্ষণের জন্য আলাদা স্থান নির্ধারণ করবো। তা যথাযথভাবে সংরক্ষণের জন্য দেশের সব জেলা ও সিটি করপোরেশনের ইপিআই সেন্টারে ইতোমধ্যে চিঠি দেওয়ার মাধ্যমে যথাযথ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে জাতীয় পর্যায়ে কোল্ড চেইন ধারণক্ষমতা বাড়িয়ে বিএডিসি ও অন্যান্য জায়গা থেকে কোনো রুম ভাড়া নেওয়া হবে।

টিকাদান প্রক্রিয়া ছয় ধাপে সম্পন্ন হবে
এক. এনআইডি কার্ডের মাধ্যমে নিবন্ধন। দুই. অনলাইন পোর্টাল থেকে ভ্যাকসিন কার্ড সংগ্রহ। তিন. ভ্যাকসিন দেওয়ার তারিখ ও তথ্য পাঠানো হবে। চার. নির্দিষ্ট তারিখ ও সময়ে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হবে। পাঁচ. প্রথম ডোজ টিকা দেওয়ার দুই মাসের মধ্যে নির্দিষ্ট তারিখে পরবর্তী ডোজ টিকা দেওয়া হবে। ছয়. দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পর পোর্টাল থেকে ভ্যাকসিন সনদ দেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এবং অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২১
পিএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।