ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

প্রথম ধাপে ৪৮ হাজার ডোজ টিকা আসছে বাগেরহাটে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২১
প্রথম ধাপে ৪৮ হাজার ডোজ টিকা আসছে বাগেরহাটে বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির। ছবি: বাংলানিউজ

বাগেরহাট: ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ৫০ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে। প্রথম ধাপে পাওয়া এই টিকা দুই একদিনে মধ্যে সব জেলায় পাঠানো হবে।

এই ধাপে বাগেরহাট জেলায় ৪ হাজার ৮০০ ভায়াল (বোতল) অর্থ্যাৎ ৪৮ হাজার ডোজ টিকা পাঠাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। যা দিয়ে প্রায় ৪৮ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া যাবে। টিকা সংরক্ষণ ও দেওয়ার জন্য সব ধরণের প্রস্তুতিও সম্পূর্ণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির।  

তিনি বলেন, সোমবার (২৫ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক চিঠিতে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে, প্রথম ধাপে বাগেরহাট জেলায় ৪ হাজার ৮০০ ভায়াল টিকা পাঠানো হবে। এই টিকা জেলা শহর ও উপজেলাগুলোতে সরবরাহ করা হবে। টিকা সংরক্ষণের জন্য আমাদের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। সিরাম ইনস্টিটিউটের এই টিকা ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় আইএলআর ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যাবে। বাগেরহাট স্বাস্থ্য বিভাগের সাড়ে ৭ লাখ ডোজ টিকা রাখার সক্ষমতা রয়েছে।  

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির বাংলানিউজকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রথম ধাপে সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মী, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, গণমাধ্যমকর্মী, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, পুলিশ সদস্য, পয়নিস্কাশনকর্মীসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের করোনা টিকা দেওয়ার হবে। বাগেরহাট জেলা এই ধরনের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ রয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো ছক অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে তালিকা তৈরি শুরু করেছি। দুই একদিনের মধ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

টিকা দেওয়ার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ৮টি, সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে ১টি, ৮টি উপজেলায় ২টি করে, ৭৫টি ইউনিয়নে একটি করে মোট ১০২টি টিম প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিটি টিমে টিকাদানে অভিজ্ঞ ২ জন স্বাস্থ্য কর্মী ও ৪ জন স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন। এছাড়া টিকা নেওয়ার পরে তাৎক্ষণিক কোনো সমস্যা হলে সমাধানের জন্য ৭ সদস্য বিশিষ্ট অ্যাডভান্স ইভেন্টস ফলোয়িং ইমুউনাইজেশন ম্যানেজমেন্ট (এইএফআই) টিম গঠন করা হয়েছে। এসব কমিটির লোকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রথম ধাপের টিকাগুলো হাসপাতালে দেওয়া হবে বলে জানান সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির।

বাংলাদেশ সময়: ০৮২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২১
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।