ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

‘বৃক্ষ-মানব’ বাজানদার ফের আগের অবস্থায়

আবাদুজ্জামান শিমুল, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২১
‘বৃক্ষ-মানব’ বাজানদার ফের আগের অবস্থায় আবুল বাজানদার। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ‘বৃক্ষ-মানব’ আবুল বাজানদার ফের আগের অবস্থায়, তার হাতে আবারও গজিয়েছে শেকড়। প্রায় আড়াই বছর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি থেকে তার ২৫টি অস্ত্রোপচার হয়েছিলো।

তখন চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার হাতে ও পায়ে গজিয়ে ওঠা শেকড়গুলো ফেলে দিয়েছিলেন। পরে ধীরে ধীরে হাসপাতালে থাকা অবস্থায় তার এগুলো আবার উঠতে থাকে। একপর্যায়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে তারা বলে এটা তার জেনেটিক রোগ।

বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) খুলনা পাইকগাছা সরল গ্রাম থেকে আবুল বাজনাদার বাংলানিউজকে বলেন, তার হাত ও পায়ের অবস্থা আগের মতনই আবারও শেকড় গজিয়ে বড় হয়েছে। প্রচণ্ড যন্ত্রণার পাশাপাশি সেগুলো দ্রুত বাড়ছে।

তিনি বলেন, প্রফেসর কবির চৌধুরী স্যার একখণ্ড জমি কিনে দিয়েছিলেন। সেখানে টিনশেড ঘর করে পরিবার নিয়ে থাকছি। আগের মতনই মানুষের কাছে চেয়ে চেয়ে খাই। এখন আমি দুই সন্তানের জনক। এক বছর আগে একটি কন্যা সন্তান হয়েছে আমার।

বাজনাদার বলেন, ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আমি ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ছিলাম। আমার হাতে ও পায়ে ২৫টি অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। অস্ত্রোপচারের সময় আমার হাতে ও পায়ে গজিয়ে ওঠা সেই শেকড়গুলো কেটে ফেলে। তখন আমি স্বাভাবিক মানুষের মতোই চলাফেরা করতাম। পরে আস্তে আস্তে সেগুলো আবার উঠতে থাকে। এখন সেগুলো আবার উঠতে উঠতে আগের অবস্থায় চলে এসেছে। আগের মতনই জ্বালাপোড়া করে। হাতে ও পায়ের শেকড়গুলো এখন দ্রুত বাড়ছে।

বাজনদার আরও বলেন, ২৫টি অস্ত্রোপচারের পরও আমার রোগটি ভালো হলো না। তবু আমি এখনো হতাশ হয়নি। আমি একদিন ভালো হবে ইনশাল্লাহ। সামন্ত লাল স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, তিনি বলেছেন করোনা কমে গেলে আমাকে আবার তার কাছে যেতে। তাই আমি কখনো হতাশ হইনি। এই যন্ত্রণা নিয়েও আমি আশা করছি আবার অসুস্থ হবো।

এদিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বাজানদারের সঙ্গে প্রতি মাসে আমার সঙ্গে মোবাইলে কথা হয়। তিনি আগের অবস্থায় ফিরে গেছেন। তার শেকড়গুলো দ্রুত বাড়ছে। এটা তার জেনেটিক সমস্যা। করোনার জন্য তাকে ঢাকায় আনা হচ্ছে না। করোনা আরও কিছুটা কমে গেলে তাকে আবারও এনে চিকিৎসা দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২১
এজেডএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।