ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

যশোরে ১১টি কেন্দ্রে করোনা টিকাদান কর্মসূচি শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২১
যশোরে ১১টি কেন্দ্রে করোনা টিকাদান কর্মসূচি শুরু টিকা নিচ্ছেন যশোর সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ। ছবি: বাংলানিউজ

যশোর: যশোরে ১১টি কেন্দ্রে করোনা টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপতালে নিজেই টিকা নিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন যশোর সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ।

কাজী নাবিল আহমেদের টিকা গ্রহণের পর জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সিভিল সার্জন, হাসপাতালের তত্বাবধায়কসহ দায়িত্বশীল বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ও স্থানীয় রাজনীতি দলের নেতারা টিকা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন যশোর সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহিন।  

সিভিল সার্জন সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল ১০টায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জহিদ মালেক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারা দেশে একযোগে টিকাদান কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর যশোরেও শুরু হয়েছে টিকাদান কর্মসূচি। এর আগে, জেলায় পাঁচ হাজার ৭১১ জন টিকা নেওয়ার জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করেন। আবেদনের মাধ্যমে করোনার টিকা দেওয়া হবে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে এক হাজার ৮৬ জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) এক হাজার ১৮৪ জন, বিমান বাহিনীর মতিউর রহমান ঘাটিতে ৩১জন, জেলা পুলিশ লাইনে ১৭০ জন,সদর উপজেলা বাদে সাত উপজেলার মধ্যে কেশবপুর উপজেলায় ২০৩ জন, মণিরামপুর উপজেলায় ৩৯৬জন, শার্শা উপজেলায় ৫৫৬ জন, ঝিকরগাছা উপজেলায় ১৪৯ জন, চৌগাছা উপজেলায় ১৭৮ জন,বাঘারপাড়া উপজেলায় ১৫৫জন এবং অভয়নগর উপজেলায় ১৯৭ জনকে করোনা ভ্যাক্সিন দেওয়া হবে।

করোনার টিকা নেওয়া পর যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহম্মেদ বলেন, আমাদের দেশে যে পরিমাণ লোক মারা গেছে, তার তুলনায় উন্নত রাষ্ট্রে অনেক বেশি লোক মারা গেছে। তারা এত উন্নত দেশ, আল্লাহ রহমতে আমরা ভালো আছি। করোনা মোকাবেলার ক্ষেত্রে ব্লুমবার্গ বাংলাদেশকে ২০তম দেশ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম হয়েছে করোনা নিয়ন্ত্রণে। করোনার টিকা নিয়ে অনেক সমালোচনা আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু অক্সফোর্ডের যে টিকা বাংলাদেশে প্রয়োগ হচ্ছে সেটা খুব নিরাপদ।

করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন প্রদান কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, প্রথমদিন জেলায় দুই হাজার জনকে টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। জেলায় প্রথমদিন সকাল ১০টা থেকে বিরতিহীনভাবে তিনটা পর্যন্ত ১১টি কেন্দ্র ৩৬টি টিম কাজ করবে। একটি টিমে দুইজন টিকাদান সেবিকা ও চারজন স্বেচ্ছাসেবক থাকবে। এই ১১টি টিকাদন কেন্দ্রের মধ্যে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে একটি, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল-সিএমএইচ-এ একটি, বিমান বাহিনীর মতিউর রহমান ঘাঁটিতে একটি, জেলা পুলিশ লাইনে একটি এবং সাত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাতটি টিকাদান কেন্দ্র করা হয়েছে। এ সকল কেন্দ্রে পর্যায়ক্রমে আটটি, চারটি, দুইটি, একটি ও সাত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৪টি এবং অতিরিক্ত সাতটি টিম টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক টিকারই কিছু না কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে। জ্বর আসে, ব্যথা হয়। সেক্ষেত্রে এরকম প্রতিক্রিয়া দেখা গেলে অন্যান্য স্বাভাবিক টিকার মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। করোনা টিকা নিয়ে কেউ মারা যাবে না।

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে করোনার টিকা নেওয়া সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুদাচ্ছের আলী বাংলানিউজকে জানান, টিকা নিয়ে কোন প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনুভব করছি না। ভালোই লাগছে। অন্য টিকার মতোই লাগছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২১
ইউজি/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।