ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

সেরামের টিকা না পেলে অন্য চিন্তা করতে হবে: জাহিদ মালেক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০১ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২১
সেরামের টিকা না পেলে অন্য চিন্তা করতে হবে: জাহিদ মালেক ফাইল ছবি

ঢাকা: যদি সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে করোনার টিকা সময়মতো পাওয়া না যায় তবে অন্য চিন্তা করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. জাহিদ মালেক।

সোমবার (২৯ মার্চ) দুপুর ১টায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের দক্ষিণ ব্লকের সম্প্রসারিত ভবনের উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের করোনার টিকা কর্মসূচি চলছে। আমাদের এই মাসের টিকার চালানটি আসার কথা ছিল। আমরা সেটি পাইনি। এটা পাওয়ার জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। ওনারা আমাদের উপহার স্বরূপ ১২ লাখ টিকা দিয়েছেন।  

‘আগামীতে যদি টিকা আমরা পেয়ে যাই তাহলে আমাদের টিকা কার্যক্রম ব্যাহত হবে না। আর যদি টিকা না পাই তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের অন্য চিন্তা করতে হবে। ‌ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা এই মুহূর্তে টিকা দিতে পারছে না। তারা জুনের আগে টিকা দিতে পারবে না। আমরা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। ’

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ফের আশঙ্কাজন হারে বাড়ছে। এরমধ্যে ২৯ মার্চ রেকর্ড রোগী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যুও হয়েছে ৪৫ জনের।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ করোনা ভাইরাসের টিকা কিনতে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে গত বছরের নভেম্বরে চুক্তি করে বাংলাদেশ। চুক্তি অনুযায়ী ভারত থেকে ওই টিকা সরবরাহের দায়িত্বে আছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে ছয় মাসে তিন কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। সে অনুযায়ী জানুয়ারিতে ৫০ লাখ ডোজ দেশে এলেও চাহিদা আর বিশ্বজুড়ে টিকার সরবরাহ সঙ্কটের মধ্যে ফেব্রুয়ারির চালানে বাংলাদেশ পায় ২০ লাখ ডোজ।

এর বাইরে ভারত সরকার দুই দফায় বাংলাদেশকে সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩২ লাখ ডোজ টিকা উপহার দিয়েছে।

এদিকে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় নিজস্ব চাহিদার কথা বিবেচনা করে ভারত সাময়িকভাবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করেছে। ফলে চুক্তির টিকা পাওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের তথ্য অনুসারে, গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম দিন টিকা দেওয়া হয় ২৬ জনকে।

করোনা ভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনে ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর পাঁচ হাসপাতালে মোট ৫৪১ ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া হয়।  

আর ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। এই দিনে সারাদেশে টিকা নেন ৩১ হাজার ১৬০ জন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২১
পিএস/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।