ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

রমেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২১
রমেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি

রংপুর: কর্মরত অবস্থায় রোগীর স্বজনের হাতে লাঞ্চিত হওয়ার প্রতিবাদে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন করছে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ।

শিশু বিভাগে চিকিৎসাধীন এক শিশুর মৃত্যুকে ঘিরে ওই শিশুর স্বজনদের ইন্টার্ন চিকিৎসকের ওপর হামলা চালানোর ঘটনায় শুক্রবার (৪ এপ্রিল) দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।

ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।

জানা গেছে, শুক্রবার (২ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে পেডিয়াট্রিক বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় লালমনিরহাটের একটি শিশু। এ ঘটনায় ওই শিশুর অভিভাবকরা দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. রহমত ইমনকে লাঞ্চিত করেন। খবর পেয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, ইন্টার্ন চিকিৎসকসহ আনসারের সদস্যরা ছুটে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং আহত ইন্টার্নকে উদ্ধার করেন।  

এ ঘটনা নিয়ে ইর্ন্টার্ন চিকিৎসকরা শনিবার (৩ এপ্রিল) সকালে হাসপাতাল কনফারেন্স কক্ষে হাসপাতাল পরিচালকের সঙ্গে সভা করেন। সেখানে সন্তোষজনক আলোচনা না হওয়ায় ওইদিন বিকেল থেকে হাসপাতালে কর্মবিরতি শুরু করে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ।    

পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহনেওয়াজ সরকার মিলন বাংলানিউজকে বলেন, পেডিয়াট্রিক বিভাগ ও সিসিইউতে প্রতিদিন অনেক রোগী ভর্তি হন। এ বিভাগ দু’টিতে প্রায় রোগী মারা যায় এবং রোগীর অভিভাবক দ্বারা আমাদের ইন্টার্নরা হামলার শিকার হন। গত সাত-আটদিন আগে এক রোগীর অভিভাবক আমাদের নারী ইন্টার্নকে লাঞ্ছিত করেন। এছাড়া বিকেলের পর থেকে পেডিয়াট্রিক বিভাগে আনসার থাকেন না। একজন রোগীর সঙ্গে আট-দশজন রোগীর স্বজনরা এসে ওয়ার্ডে ভিড় করেন। এতে করে করোনার সংক্রমণ বাড়ার শঙ্কার সঙ্গে সঙ্গে ইন্টার্নদের ওপর হামলার ঘটনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। তাই ইন্টার্নের ওপর হামলার ঘটনায় হাসপাতাল প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা করা, পেডিয়াট্রিক ও সিসিইউ বিভাগে নিরাপত্তা জোরদার করা এবং একটি নির্দিষ্ট সময় নির্দিষ্ট সংখ্যক রোগীর স্বজন তাদের রোগীর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন এমন সময় নির্ধারণ করার দাবি জানাচ্ছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

এ বিষয়ে রংমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. রেজাউল করিম বাংলানিউজকে জানান, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে শিশু ওয়ার্ডে নিরাপত্তা জোরদার করেছি। সেখানে একজন আনসার নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া ওয়ার্ডে রোগীর অভিভাবকদের প্রবেশের ব্যাপারে গেট পাসের ব্যবস্থা নিয়ে বড় পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। আমরা আশা করছি খুব দ্রুত তারা কাজে ফিরবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২১
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।