ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

সিলেটে করোনার প্রথম ডোজেই ঘাটতি!

নাসির উদ্দিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২১
সিলেটে করোনার প্রথম ডোজেই ঘাটতি!

সিলেট: সিলেটে ঘাটতি রেখেই বন্ধ করে দেওয়া হলো করোনার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ।

সোমবারের (২৭ এপ্রিল) পর থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে।

এদিন দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন আরো পাঁচ হাজার ৮৪১ জনে। এর মধ্যে পুরুষ তিন হাজার ৫৬০ এবং নারী দুই হাজার ২৮১ জন।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এদিন মহানগর এলাকায় দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন মোট এক হাজার ৫৯১ জন। পাশাপাশি ২৪৩ জন প্রথম ডোজের টিকা নেন।

গত ৩১ জানুয়ারি সিলেট বিভাগে চার লাখ ৪৪ হাজার করোনার টিকা পৌঁছায়। এর মধ্যে সিলেট জেলায় দুই লাখ ২৮ হাজার, বাকিগুলো অন্য তিন জেলায় বন্টন করা হয়। এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সিলেটে গণটিকা দেওয়া শুরু হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনা ভ্যাকসিন নিতে বিভাগের চার জেলায় তিন লাখ ৭৪ হাজার ৯৬২ জন নারী পুরুষ নিবন্ধন করে রোববার পর্যন্ত তিন লাখ ৪৪২ জনে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় এক লাখ ৫১ হাজার ৭৮৩ জন নিবন্ধন করে প্রথম ডোজ পেয়েছেন এক লাখ ১৪ হাজার ১১ জনে। সুনামগঞ্জে ৭১ হাজার ৯৩৫ জন নিবন্ধন করে ৬১ হাজার ৭৯০ জন প্রথম ডোজ গ্রহণ করেন। হবিগঞ্জে ৭২ হাজার ৮৩০ জন নিবন্ধন করে ৫৭ হাজার ৬৬৮ জন প্রথম ডোজ নেন এবং মৌলভীবাজারে ৭৮ হাজার ২১৪ জন রেজিস্ট্রেশন করে ৬৬ হাজার ৯৭৩ জন প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন।

বিভাগের চার জেলায় এখনো ৭৪ হাজার ৫২০ জন প্রথম ডোজের টিকা নেওয়ার অপেক্ষমান থেকে গেছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।  

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেটের তথ্য মতে, সোমবার বিভাগে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন এক লাখ ৫২ হাজার ৭৩৮ জন। এর মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন সিলেট জেলায় ৫৫ হাজার ৩২৪ জন, সুনামগঞ্জ জেলায় ২৬ হাজার ৬৯ জন, হবিগঞ্জে ২৮ হাজার ৮৮৬ জন এবং মৌলভীবাজারে ৪২ হাজার ৪৫৯ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালকের দায়িত্বে থাকা ডা. আনিসুর রহমানের তথ্য মতে, সিলেট বিভাগে এখনো ভ্যাকসিন মজুত আছে চার হাজার ৪৬৪টি ভায়াল। প্রতি ভায়ালে ১০টি করে ডোজ থাকে। সে হিসেবে ৪৪ হাজার ৬৪০ ডোজ মজুত আছে। পক্ষান্তরে এখনো দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার অপেক্ষায় আছেন এক লাখ ৪৭ হাজার ৭০৪ জন নারী-পুরুষ।

তিনি বলেন, সিলেট জেলায় এখনো এক হাজার ৬৫৬টি ভায়ালে ১৬ হাজার ৫৬০ ডোজ টিকা মজুত আছে। সুনামগঞ্জে এক হাজার ৫১৩টি ভায়ালে ১৫ হাজার ১৩০ ডোজ, হবিগঞ্জে ৮৮২ ভায়ালে আট হাজার ৬২০ ডোজ এবং মৌলভীবাজারে ৪৩৩ ভায়ালে চার হাজার ৩৩০ ডোজ টিকা মজুত আছে।

সিলেটের সিভিল সার্জন প্রেমানন্দ মণ্ডল বাংলানিউজকে বলেন, টিকার পরবর্তী চালান না আসলে দ্বিতীয় ডোজেই সংকট দেখা দেবে। এতোদিন দ্বিতীয় ডোজের পাশাপাশি প্রথম ডোজ ভ্যাকসিনও দেওয়া হচ্ছিল। তবে টিকার সংকটের কারণে প্রথম ডোজ বন্ধ রেখে এখন কেবল দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া অব্যাহত থাকবে। ভ্যাকসিনের পরবর্তী চালান পৌঁছালে প্রথম ডোজ দেওয়ার কার্যক্রম পুনরায় চলবে।

তিনি বলেন, অনেকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ না পেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে পারেন। তবে দ্বিতীয় ডোজ না নিলেও কেনো পাশ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। করোনা থেকে সুরক্ষায় দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও বাড়াতেই কেবল দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২১
এনইউ/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।