ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

চীনের সিনোফার্মের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন বাংলাদেশে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট    | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২১
চীনের সিনোফার্মের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন বাংলাদেশে

ঢাকা: চীনের সিনোফার্মের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োগ করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান একথা জানান।  

তিনি বলেন, আজ আমরা সিনোফার্মার টিকার অনুমোদন দিলাম। এই টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে।

তিনি বলেন, সিনোফার্ম যে টিকা উদ্ভাবন করেছে, আমরা আজ সেটার ইমার্জেন্সি ইউজের অথরাইজেশন দিয়েছি। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার সরবরাহ সঙ্কটে টিকাদান কার্যক্রম নিয়ে জটিলতার মধ্যে দ্রুত দু’টি নতুন টিকার অনুমোদন দেওয়া হলো।  

‘এই টিকা কেনা হবে সরকারি পর্যায়ে। চীন অনুদান হিসেবে ৫ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছে। এগুলো আগামী এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশে আসবে। ’

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, এই টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়াল হয়েছে চীনে। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল বিশ্বের পাঁচটি দেশের ৫৫ হাজার মানুষের ওপর হয়েছে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সি কমিটি এ টিকার সব নথিপত্র যাচাই করেছে।

তিনি বলেন, সার্বিক দিক বিবেচনা করে আমাদের যে কমিটি আছে, সেই কমিটি এই টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছে। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে আমরা আজ চীনের সিনোফার্মের এই টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছি।

মাহবুবুর রহমান বলেন, টিকা বাংলাদেশে আসার পর প্রথমে ১ হাজার মানুষের ওপর প্রয়োগ করে তাদের পর্যবেক্ষণ করা হবে। আমরা দেখবো এই টিকার সেফটি এবং অ্যাফিকেসি কেমন। এরপর গণটিকাদান কার্যক্রমে সিনোফার্মের টিকা ব্যবহার করা হবে।

মেজর জেনারেল মাহবুব বলেন, অন্য কোনো কোম্পানির টিকা দিয়ে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যাবে কিনা সে বিষয়ে আমাদের ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ আছেন, তাদের কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছে। ওনারা একটা মিটিং করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন।

স্পুতনিক-ভি ও সিনোফার্মের টিকা দেশে উৎপাদনের জন্য ইতোমধ্যে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে অথবা কাঁচামাল নিয়ে এসে বাংলাদেশের ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানিতে টিকা উৎপাদন করা যাবে। বাংলাদেশের ইনসেপ্টা, পপুলার ও হেলথকেয়ার ফার্মার টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে কথা হচ্ছে বলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান।

তিনি বলেন, ওনারা (চীনের প্রতিনিধি) আসবেন। তিনটি ফার্মাসিউটিক্যালসই দেখবেন, সক্ষমতা অ্যাসেস করবেন। করার পরে সেই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে তাদের একটা সমঝোতা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২১
পিএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।