ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

জায়গা খালি নেই যশোরের কোয়ারেন্টিন কেন্দ্রগুলোতে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪১ ঘণ্টা, মে ১, ২০২১
জায়গা খালি নেই যশোরের কোয়ারেন্টিন কেন্দ্রগুলোতে ...

যশোর: ভারতফেরতদের যশোরের ২৯টি আবাসিক হোটেলে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। তবে, ভারত থেকে যে সংখ্যক মানুষ ফেরত আসার কথা ছিল ফিরেছেন তার চেয়ে বেশি।

ফলে জেলার কোয়ারেন্টিন কেন্দ্রগুলো পরিপূর্ণ হয়ে ওঠেছে। এ অবস্থায় ফেরত আসা যাত্রীদের পাঠানো হচ্ছে খুলনা-সাতক্ষীরা-ঝিনাইদহ ও নড়াইলে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ভারতের নতুন ধরনের করোনা যাতে বাংলাদেশে ছড়াতে না পারে সেজন্য স্থলপথে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত ১৪ দিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এমন অবস্থায় ভারতে আটকেপড়া ১ হাজার ২শ মানুষ দূতাবাসের বিশেষ অনুমতি নিয়ে দেশে ফিরছেন। এর মধ্যে শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যা পর্যন্ত যশোরের বেনাপোল হয়ে ৭৫ জন দেশে ফিরেছেন। এ নিয়ে গত ৫ দিনে ৭৭১ জন বিশেষ ব্যবস্থায় ভারত থেকে দেশে ফিরলেন।

গত ৫ দিনে যারা দেশে ফিরেছেন তাদের মধ্যে করোনা ‘পজিটিভ’ ব্যক্তি আছে ১৫ জন। তাদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এছাড়াও সম্প্রতি দুইজনের মরদেহ দেশে এসেছে। ভারত থেকে ফেরা করোনা নেগেটিভ ব্যক্তিদের বেনাপোল ও যশোর শহরের আবাসিক হোটেল এবং ঝিকরগাছার গাজীর দরগা মাদ্রাসায় কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

যশোরে এক হাজার ব্যক্তিকে রাখার মতো ব্যবস্থা রয়েছে। যেভাবে ভারত থেকে মানুষ এসেছে তাতে শুক্রবার দুপুরেই যশোরের সব কোয়ারেন্টিন সেন্টার পূর্ণ হয়ে যায়। এমন অবস্থায় জেলা করোনা কমিটি জরুরি সভার আয়োজন করে। সেখানে দুই শতাধিক ভারতফেরত যাত্রীকে যশোরের পাশের ৪টি জেলায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।

যশোরের জেলা প্রশাসক ও জেলা করোনা কমিটির আহ্বায়ক তমিজুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে বলেন, ‘ভারত থেকে যে পরিমাণ যাত্রী ফেরত আসার কথা আমরা চিন্তা করছিলাম তার থেকে অনেক বেশি লোকজন আসছে। বেনাপোলের হোটেলগুলো পূর্ণ হয়ে গেছে। ঝিকরগাছা উপজেলার গাজীর দরগাহ এতিমখানা ও মাদ্রাসার ভবনও পূর্ণ হয়ে গেছে। সেখানে ২০২ জনকে রাখা হয়েছে। যে কারণে ভারত থেকে ফেরত আসাদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে এবার তাদের খুলনা-সাতক্ষীরা-ঝিনাইদহ ও নড়াইলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ’

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সেখ সালাউদ্দিন শিকদার বাংলানিউজকে বলেন, যেসব স্থানে ভারত ফেরত যাত্রীদের রাখা হয়েছে সেসব স্থানে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও আনসার মোতায়েন করা হয়েছে। ১৪ দিন অবস্থানের পর করোনা নেগেটিভ সনদ প্রাপ্তি সাপেক্ষে এসব যাত্রীদের নিজ বাড়ির উদ্দেশে যেতে দেওয়া হবে।

যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, দেশে ফেরার জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে আরও ১ হাজার ২০০ জনকে বিশেষ অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৭৫ জন শুক্রবার ফিরেছেন। যশোরে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে জায়গা সংকট দেখা দেওয়ায় ভারত ফেরতদের পাশের ৪ জেলায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, মে ০১, ২০২১ 
ইউজি/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।