ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

দুই ডোজের মধ্যবর্তী সময় ৮-১২ সপ্তাহে সীমাবদ্ধ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৪ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২১
দুই ডোজের মধ্যবর্তী সময় ৮-১২ সপ্তাহে সীমাবদ্ধ

ঢাকা: করোনার টিকার দুই ডোজের মধ্যবর্তী সময় ৮-১২ সপ্তাহের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

রোববার (২৩ মে) বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) আয়োজিত এক ভার্চ্যুয়াল ওয়েবিনারে এ কথা বলেন তিনি।

বিআইডিএস-এর মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেনের সভাপতিত্বে ‘বিআইডিএস ক্রিটিক্যাল কনভারসেশনস ২০২১: কোভিড-১৯ লিঙ্কিং ইকোনোমিক অ্যান্ড হেলথ কনসার্নস’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, সমন্বয় ও সহযোগিতার মাধ্যমেই কেবল এই সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব। স্বাস্থ্য কিংবা একক কোন বিভাগের মাধ্যমে যেটি সম্ভব নয়। তবে মহামারির এই সময়ে ইনফোডেমিক দেশের জন্য ভয়ঙ্কর হতে পারে। ভূল তথ্যের মাধ্যমে জনগণকে প্রভাবিত করা হচ্ছে।

দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বলতার বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করে তিনি বলেন, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা করোনা পূর্ব অবস্থায় বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা থেকে স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু করোনা পরবর্তী স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য কোনো দেশই প্রস্তুত ছিল না।

একটি টিকার ওপর নির্ভর করা হয়নি জানিয়ে মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, সব ধরনের সুযোগ কাজে লাগানো হয়েছে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, লকডাইন একটি চরম ব্যবস্থা। কিছু ক্ষেত্রে বাস্তব কারণ ও দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শিথিল করা হচ্ছে। এটি বৈপরিত্য তৈরি করছে। করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্য খাত কতটুকু ভঙ্গুর তা দেখিয়ে দিয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, গেস্ট অব অনার হিসেবে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান, প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই কর্মসূচির পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরি।

ড. মসিউর রহমান বলেন, অপ্রাতিষ্ঠানিক ও গ্রামীণ মানুষ দ্রুত প্রণোদনার অর্থ পাবে সেটি খুব কঠিন। ব্যাংকগুলোর ঋণ প্রদানের ক্ষমতা হ্রাস না করে এখানে সরকারের একটু সহায়ক ভূমিকা নিয়ে বাড়ানো যেতে পারে। এ সময়ে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। তবে অনেক শিক্ষার্থীর ইন্টারনেট সুবিধা নেই। আবার অনেকের জন্য ইন্টারনেট খরচ বেশি। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার বিষয়টি ভাবনার প্রয়োজন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ গণ্টা, মে ২৩, ২০২১
এমআইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।