ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

নিপাহ্ ভাইরাসে মৃত্যুর হার নিয়ে উদ্বেগ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১২
নিপাহ্ ভাইরাসে মৃত্যুর হার নিয়ে উদ্বেগ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

ঢাকা: নিপাহ্ ভাইরাসে মৃত্যুর হার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে নিপাহ্ ভাইরাস প্রতিরোধে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।



স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নিপাহ্ ভাইরাসে মৃত্যুর হার উদ্বেগজনক। এ বিষয়ে জনগণের সচেতনতার অভাব এবং সরকারি প্রচারণায় গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে মৃত্যু এড়ানো সম্ভব হচ্ছে না।

প্রসঙ্গক্রমে তিনি জানান, প্রতিবছরই ডিসেম্বর-মে পর্যন্ত সময়ে দেশের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে এ নিয়ে মাইকিং করা হয়ে থাকে।

এ সময় নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনা গড়ে তোলার পাশাপাশি খেঁজুর গাছের কাঁচা রস খাওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি জনগণের প্রতি আহবান জানান।

মন্ত্রী বলেন, এখনও এ ভাইরাসের কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি।

এছাড়া পাকা ফলের খেয়ে রাখা অংশ না খাওয়া, ফলমূল ভালোভাবে ধুইয়ে খাওয়া, রোগীর সেবার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করারও পরামর্শ দেন তিনি।  

অনুষ্ঠানে বলা হয়, নিপাহ্ ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুহার বাড়ছে। গত দশ বছরে নিপাহ্ ভাইরাসে আক্রান্ত চিহ্নিত ১৮৪ জনের মধ্যে মারা গেছে ১৪৩ জন। আর এ বছর আক্রান্ত জয়পুরহাটের ৬ জনের সবাই মারা গেছে। অর্থাৎ মৃত্যুর হার শতভাগ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব হুমায়ুন কবির, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. খন্দকার সিফায়েত উল্লাহ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে নিপাহ্ ভাইরাস সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন ইনস্টিটিউট অব ইপিডেমোলজি ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড রিসার্চ-এর পরিচালক ড. মাহমুদুর রহমান।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মালেশিয়ার নিপাহ্ নামক এক গ্রামে প্রথম এ ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়। বাংলাদেশে ২০০১ সালে মেহেরপুরে প্রথম নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এটিকে প্রথমে এনক্যাপালাইটস হিসেবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

পরে ২০০৪ সালে এটিকে নিপাহ্ ভাইরাস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।