ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

পৃথিবীর খুব কম জায়গায় এতবড় ল্যাব আছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০২১
পৃথিবীর খুব কম জায়গায় এতবড় ল্যাব আছে ছবি: রাজীন চৌধুরী

ঢাকা: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবাসীদের করোনা পরীক্ষার জন্য ৩৬ হাজার স্কয়ার ফুটের একটি ল্যাব তৈরি করা হয়েছে। এখানে অনেক সুবিধা রয়েছে।

হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এখানে পরীক্ষা করতে পারবে। পৃথিবীর খুব কম জায়গায় এতবড় ল্যাব আছে। আমি কিছুদিন আগে ডব্লিউএইচও থেকে ঘুরে এসেছি। সেখানের এয়ারপোর্টে টেস্টিং ফেসিলিটি তা এখানের দশ ভাগের এক ভাগ হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ওমিক্রন মোকাবিলায় বিমানবন্দরের আরটি পিসিআর ল্যাবের কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জাহিদ মালেক বলেন, এখানে করোনা পরীক্ষা, রেজিস্ট্রেশন, খাবার ও নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে। পুরো ল্যাবটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।  

ভ্যাক্সিনের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এখন মানুষজন ভ্যাক্সিন দিতে কম আসছে। আমাদের এখনো চার কোটি ভ্যাক্সিন মজুদ আছে। করোনা থেকে মুক্তি পেতে হলে সব সময় মাক্স পড়তে হবে। আর সবাইকে ভ্যাক্সিন দিতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা সবকিছু ভালো করার চেষ্টা করছি। চিকিৎসা ব্যবস্থা ভালো হয়েছে। করোনায় মৃত্যুর হার ১ থেকে ২ আছে। চিকিৎসার মন ভালো বলেই মৃত্যুর হার এত কম। ভ্যাক্সিনেশন অবগতি লাভ করেছে। প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ ভ্যাক্সিনেশনের আওতায় এসেছে। এ কারণে করোনায় সংক্রামক ও মৃত্যুর হার কমে গেছে। যার ফলে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ভালো আছে। বিদেশে বাংলাদেশের ভালো একটি ইমেজ তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশিদের বিদেশে যাওয়ার কোথাও রেস্ট্রিকশন নেই। সব দিক থেকেই আমরা ভালো আছি।

ওমিক্রন নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিষয় উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ওমিক্রন নামে বিশ্বজুড়ে এক নতুন ভ্যারিয়েন্ট বেরিয়েছে, যেটা নিয়ে সবাই একটু চিন্তিত। আমরাও এ বিষয়ে সতর্ক। কিন্তু আমরা প্যানিক হবো না। আমরা জানতে পেরেছি এটা দ্রুত সংক্রমিত হয়। আফ্রিকা বলেছে, ওমিক্রন শতগুণ সংক্রমণের ক্ষমতা রাখে। কিন্তু এখনো কোনো মৃত্যু ঘটেনি। সংক্রমণ হলেও এর লক্ষণ মৃদু।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, এক মাস আগে আফ্রিকা থেকে আসা ২৪০ জন প্রবাসীদের খুঁজে বের করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে বলা হয়েছে। তারা সে বিষয়ে কাজ করছে। সবাইকে অবশ্যই খুঁজে বের করা হবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেসব প্রবাসী নিজের ও দেশের কথা ভাবে না, হোটেল থেকে বের হয়ে ঘোরাফেরা করেছেন, বাড়িতে চলে গেছেন, আমরা এবার তাদের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে যাবো। প্রয়োজনে প্রবাসীদের পাসপোর্ট রেখে দেওয়া হবে। এছাড়া প্রশাসন, সামরিক বাহিনী ও স্বাস্থ্য বিভাগ এয়ারপোর্টে তদারকিতে রাখবো। এবার যদি কোনো প্রবাসী রোগী হোটেল থেকে বের হয়ে যায়, হোটেল মালিকদের জন্য জরিমানার ব্যবস্থা করা হবে। বুস্টার ডোজের জন্য তালিকা করা হচ্ছে। তালিকা শেষে ব্যবস্থা করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২১, আপডেট: ১৮৪১ ঘণ্টা
এমএমআই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।