ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো মানবদেহে বসানো হল মেকানিকাল হার্ট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৬ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২২
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো মানবদেহে বসানো হল মেকানিকাল হার্ট ...

ঢাকা: বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সফলভাবে ৪২ বছর বয়সী এক নারীর শরীরে মেকানিকাল হার্ট বসানো হয়েছে। মেকানিকাল হার্টের দামসহ স্থাপনের খরচ হয়েছে সোয়া এক কোটি টাকার মত।

মেকানিকাল হার্ট রক্তমাংসের হৃদপিণ্ডের বদলে, রক্ত সঞ্চালনের কাজ করে মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার একটি যন্ত্র।

বুধবার (২ মার্চ) ঢাকার বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসকদের একটি দল চার ঘণ্টা অস্ত্রোপচার করে ‘মেকানিকাল হার্ট ইমপ্ল্যান্ট’ করেছে।

এ অস্ত্রোপচারে অংশ নেওয়া কার্ডিয়াক সার্জন ডা. আরিফ আহমেদ মহিউদ্দিন বলেন, হৃদযন্ত্রের কাজ হচ্ছে বিরতিহীনভাবে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে রক্ত সঞ্চালন করা। শরীরের সকল অঙ্গের সুস্থতার জন্য হৃদযন্ত্রের সুস্থতা খুবই জরুরি। হৃদযন্ত্রের ক্ষতি যে পর্যায়ে গেলে এই কাজটি আর করতে পারে না সেই কাজটি করে দেয় এই যন্ত্র।

তিনি আরও বলেন, সহজে বলতে গেলে এটি রক্ত পাম্প করার বা হৃদযন্ত্রে রক্ত সঞ্চালনের যন্ত্র। এতে করে হৃদযন্ত্র বিশ্রাম পায় এবং শরীরের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হয়ে আসে।

এটি ব্যাটারি চালিত যা মোবাইল ফোনের ব্যাটারির মতো চার্জ দিতে হয়। যে যন্ত্রটি বাংলাদেশে বসানো হয়েছে সেটি ‘হার্টমেট-থ্রি’।

অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পাম্প করার অংশটি বাসানো হয় হার্টের নিচে বাম দিকের অংশে। হৃদপিণ্ডের সঙ্গে যন্ত্রটিকে টিউব দিয়ে সংযোগ করে দেওয়া হয়। এক ধরনের চুম্বক শক্তি দিয়ে যন্ত্রটি পাম্পের কাজ করে।

পেটে ফুটো করে তার মাধ্যমে শরীরের বাইরের দিকে তার দিয়ে ব্যাটারি ও মনিটরের সঙ্গে সংযোগ করে দেওয়া থাকে। এই অংশ স্ট্র্যাপ দিয়ে একটি ব্যাগে ভরে দেওয়া থাকে যা সারাক্ষণ বহন করতে হয়। বহনযোগ্য অংশের ওজন সবমিলে দেড় কেজির মতো। মনিটর দিয়ে ব্যাটারির চার্জ ও যন্ত্রের কার্যক্রম সম্পর্কে জানা যায়।

সাধারণত হৃদযন্ত্র পুরোপুরি বিকল হয়ে গেলে প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হয়। সেটিই দীর্ঘমেয়াদি সমাধান। কিন্তু হৃদযন্ত্র দ্রুত মারাত্মক অবনতির দিকে গেলে, কোনভাবেই আর ঔষধে কাজ না হলে, সুস্থ হৃদযন্ত্র পাওয়া না গেলে বা পেতে দেরি হলে এই যন্ত্রটি লাগানো হয়।

ডা. আরিফ আহমেদ মহিউদ্দিন বলেন, এই মডেলটি বাজারে এসেছে ২০১৭ সালে। এটি লেটেস্ট মডেলগুলোর একটি। আপনি কতদিন বাঁচবেন তা একদম হিসেব করে বলা মুশকিল। তবে এর ক্লিনিকাল ট্রায়ালের ফল থেকে দেখা যাচ্ছে সাধারণত পাঁচ বছরের বেশি সময় সুস্থভাবে বাঁচা যায়। যন্ত্রটির স্থায়িত্ব আট থেকে দশ বছর।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২২
আরকেআর/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।