ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন দুই কিংবদন্তি চিকিৎসক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২১ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২২
স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন দুই কিংবদন্তি চিকিৎসক মো. কামরুল ইসলাম ও কনক কান্তি বড়ুয়া

ঢাকা: এক হাজারের বেশি কিডনি প্রতিস্থাপন করে দেশব্যাপী আলোচিত অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল ইসলাম স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন। একই সঙ্গে চিকিৎসাবিদ্যায় স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন আরেক বিশিষ্টজন অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।

১০ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২২ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

মো. কামরুল ইসলাম

কামরুল ইসলাম দেশের একজন শল্যচিকিৎসক, যিনি এক হাজারের বেশি কিডনি প্রতিস্থাপন করেছেন। দেশে এখন পর্যন্ত যত কিডনি প্রতিস্থাপিত হয়েছে, তার এক-তৃতীয়াংশ তার হাত দিয়ে হয়েছে। দেশের মানুষ কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য যখন বিদেশ যেতে উন্মুখ, তখন স্বল্প ব্যয়ে কামরুল ইসলাম একের পর এক কিডনি প্রতিস্থাপন করেছেন।

করোনা মহামারির সময় সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার প্রায় বন্ধ থাকলেও তিনি কিডনি প্রতিস্থাপন বন্ধ রাখেননি। তার প্রতিষ্ঠিত রাজধানীর শ্যামলীতে সেন্টার ফর কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি (সিকেডি অ্যান্ড ইউরোজজি) হাসপাতালে মহামারি চলাকালীন প্রায় ২৫৫টি কিডনি প্রতিস্থাপিত হয়েছে।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ৪০তম ব্যাচের ফার্স্ট বয় কামরুল ইসলাম, এফসিপিএস (সার্জারি), এফআরসিএস (ইডিন), এমএস (ইউরোলজি)।

স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ পাকশী ইক্ষু গবেষণা ইস্টিটিটিউটের আরনোমিস্ট আমিনুল ইসলামের চার পুত্রের মধ্যে দ্বিতীয় কামরুল ইসলাম।

তিনি চন্দ্র প্রভা বিদ্যাপীঠ থেকে ১৯৮০ সালে এসএসসিতে মেধা তালিকায় ১৫তম স্থান অর্জন করে ঢাকা কলেজে ভর্তি হন। এরপর এইচএসসিতে দশম স্থান অর্জন করেন। ১৯৮২ সালে তৎকালীন আটটি মেডিক্যাল কলেজের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করেন।

কনক কান্তি বড়ুয়া

১৯৫৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন কনক কান্তি বড়ুয়া। তিনি ১৯৭৭ সালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। ১৯৯০ সালে এফসিপিএস, ২০০৩ সালে এমএস (নিউরো সার্জারি) ও ২০০৪ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

কনক কান্তি বড়ুয়া বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস থেকে এফসিপিএস অর্জন করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নায়ু শল্য বিদ্যা বিভাগের (নিউরো সার্জারি) সভাপতি এবং শল্যবিদ্যা অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করেন।  

২০১৭ সালে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ২০১৮ সালে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

অধ্যাপক কনক ১৯৯৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এফআইসিএস, ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কা থেকে সম্মানসূচক এফএসএলসিএস এবং কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস, পাকিস্তান থেকে সম্মানসূচক এফসিপিএস ডিগ্রি অর্জন করেন।

নিউরো সার্জারিতে অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৮ তিনি আন্তর্জাতিক ‘বিএমএএনএ রিকোগনিশন অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। ২০১৯ সালে অধ্যাপক পিএস রামানি লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পান। এ পর্যন্ত তার ৪৭টিরও বেশি গবেষণাপত্র দেশি-বিদেশি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

আরো পড়ুন: স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন ১১ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান

বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২২
আরকেআর/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।