ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ফরিদপুর হাসপাতালের পরিচালক অবরুদ্ধ, অপসারণের দাবি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২২
ফরিদপুর হাসপাতালের পরিচালক অবরুদ্ধ, অপসারণের দাবি

ফরিদপুর: করোনাকালীন সময়ে প্রণোদনা টাকা না পেয়ে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালককে অবরুদ্ধ রাখা হয়েছে। অবরুদ্ধ রেখেছেন ওই হাসপাতালটির নার্স, ওয়ার্ড বয় ও কর্মচারীরা।

তারা বিক্ষোভ প্রদর্শনসহ হাসপাতালের পরিচালকের অপসারণও দাবি জানিয়েছেন।  

বুধবার (২৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত পরিচালকের কক্ষে অবস্থান নেন হাসপাতালের বিক্ষোভকারী এসব নার্স এবং ওয়ার্ড বয়সহ চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা। এ সময় ৫০০ শয্যার এই হাসপাতালটিতে রোগীদের সেবা দেওয়া বন্ধ করে দেন তারা।  

পরে চিকিৎসক নেতারা মধ্যস্থতায় আগামী ১০ দিনের মধ্যে করোনা প্রণোদনার টাকা দেওয়ার আশ্বাসে তারা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরে যান।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নার্স বাংলানিউজকে জানান, ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনাকালীন সময়ে যে সব নার্স দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার কথা থাকলেও তা না পাওয়ায় তারা হাসপাতালের পরিচালককে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

তারা আরও জানান, পরবর্তীকালে প্রণোদনার অর্থ দেওয়ার আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত‍্যাহার করে নেন তারা।

হাসপাতালটির নার্স ও ওয়ার্ড বয় অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ন মহাসচিব আফসানা আক্তার শান্তা বাংলানিউজকে বলেন, যারা করোনায় সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের সেবা দিয়েছেন তাদের জন্য গত বছরের জুলাইয়ে সরকার ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা প্রতিষ্ঠানটির অনুকূলে বরাদ্দ দিয়েছে। কিন্তু আমাদের পরিচালকের খামখেয়ালির কারণে সেই প্রণোদনার মধ্যে ১ কোটি টাকা ফেরত চলে গেছে।  

আমরা এই অযোগ্য পরিচালকের অপসারণ দাবি করছি। পাশাপাশি আমাদের ন্যায্য পাওনার দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. সাইফুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, টাকা বরাদ্দ পাওয়ার পর আমরা একটি কমিটি গঠন করি দেই। সেই কমিটির তথ্যের ভিত্তিতে তালিকা তৈরি করে ঢাকার হিসাব রক্ষণ (এজি) অফিসে পাঠানো হলে সেখান থেকে জানানো হয় প্রয়োজনীয় অর্থ নেই। এ খবর জানতে পেরে কিছু হাসপাতালের স্টাফ বিক্ষোভ করেছে।  

তিনি জানান, প্রয়োজনীয় অর্থ চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পত্র পাঠানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই সমস্যা নিরসন হবে।

এ বিষয়ে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়। নার্সদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়।

এ ব্যাপারে ফরিদপুরের স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. আব্দুল জলিল বলেন, বিক্ষোভের খবর পেয়েই আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলি। তাদের সাথে আলোচনা করে ১০ দিনের সময় নেওয়া হয়েছে। তারা আশ্বস্ত হয়ে আবার কাজে ফিরে গেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।