ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

৫ বছর ঊর্ধ্বদের করোনা টিকা কার্যক্রম শুরু জুলাইয়ে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৩ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০২২
৫ বছর ঊর্ধ্বদের করোনা টিকা কার্যক্রম শুরু জুলাইয়ে সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক - ফাইল ছবি

ঢাকা: দেশের ৫ বছরের বেশি বয়সের সবাইকে পর্যায়ক্রমে করোনা টিকার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন। বলেছেন আগামী মাস থেকে এই কার্যক্রম শুরু হবে।

রোববার (৫ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্য আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে ও জাসদের শিরিণ আখতারের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

আব্দুল লতিফের প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের ৮০ ভাগ লোককে আওতায় আনার পরিকল্পনা নেওয়া  হয়েছে। যাদের বয়স ৫ বছরের উপরে, তাদের সবাইকে পর্যায়ক্রমে টিকা দেওয়া হবে। এ পর্যন্ত (০১-০৬-২০২২) দেশের জনগণকে সর্বমোট ১২,৮৭,৭৩,৪৩৬টি প্রথম ডোজ এবং ১১,৭৬,৪৫,৩৭১টি দ্বিতীয় ডোজ ও ভাসমান জনগোষ্ঠীকে মোট ২,৪৩,৯১৮টি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১,৫২,৮৯,৬১০টি বুস্টার ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।

জাসদের শিরিণ আখতারের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ১২ বছর পর্যন্ত করোনার ডোজ দিচ্ছি। এরপর ৫ বছরের উপরে সবাইকে এই টিকা দেওয়া হবে। ৫ বছরের উপরের টিকার ধরণও আলাদা, তবে আমরা এটা পেয়ে গেছি। চলতি মাসের (জুন) শেষে যাদের বয়স ৫ বছরের বেশি, তাদের করোনা টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হবে।

সংরক্ষিত আসনের ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য বেগম লুৎফুন নেহা খানের এক প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তার স্বার্থে ওষুধের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণে সরকার সবসময় সচেষ্ট রয়েছে। নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি প্রতিরোধে সরকার কঠোরতা অবলম্বন করছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত ২০৩৬টি মামলা দায়ের করে এবং ২ কোটি ৬৭ লাখ ৫৪ হাজার ৩০০টাকা জরিমানা আদায় করেছে। এছাড়াও ওষুধের অনিয়ম প্রতিরোধে বিদ্যমান আইন আরও যুগোপযোগী ও কঠোর শাস্তির বিধান রেখে ওষুধ আইন-২০২১ অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত ৪৬টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। এরমধ্যে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ১৭টি, হারবাল ওষুধ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ৪টি, এলোপথিক ওষুধ প্রদানকারী উৎপাদনকারী ৫টি, ইউনানী ওষুধ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ৬টি এবং আয়ুর্বেদিক ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ১৪টি।

জানুয়ারি’২০২১ থেকে ডিসেম্বর পর্ন্ত মান-বহির্ভূত ও অন্যান্য অনিয়মের কারণে ১৩৬টি ওষুধের রেজিস্ট্রেশন সাময়িক বাতিল করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০২২
এসকে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।