ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বন্যার দুর্ভোগ লাঘবে হাসপাতালের সম্মুখে ভাসমান সেতু 

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৫ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২২
বন্যার দুর্ভোগ লাঘবে হাসপাতালের সম্মুখে ভাসমান সেতু  কুলাউড়ায় হাসপাতালে সম্মুখে স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত ভাসমান সেতু। ছবি: বাংলানিউজ 

মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কিছু অংশ তলিয়ে গেছে বন্যার পানিতে। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে বন্যা কবলিত এলাকায় সেখানকার স্থানীয় জীবনযাত্রা হয়ে পড়েছে স্থবির।

পানিময় দুর্ভোগের কথা মাথায় নিয়ে যে কেউই বিরত থাকেন এরূপ বন্যায় স্বাভাবিকভাবে চলাচলের ক্ষেত্রে।

তবে মানুষের জীবনরক্ষাকারী প্রতিষ্ঠানে যেনো স্থবিরতা না আসে এবং আগত রোগীরা যেনো স্বাচ্ছন্দ্যে এখানে আসতে পারেন তার জন্যে ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ নেন স্থানীয়রা। তারা হাসপাতালের সম্মুখে স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণ করেন ভাসমান সেতু।

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বন্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রবেশ মুখে রাস্তায় হাঁটুপানি। এই হাঁটুময় পানির দুর্ভোগ লাঘব করার জন্য স্বেচ্ছাসেবীদের উদ্যোগে এমন টিনযুক্ত সেতু তৈরি পরিকল্পনা। বেশ কয়েকটি টিনের বড় পুরাতন ড্রাম নিচে দিয়ে তার ওপর শক্ত টিন বেঁধে দেওয়া হয়। যাতে করে অনায়াসে লোকজন তার ওপর দিয়ে যাতায়াত করতে পারেন।  

বুধবার (২২ জুন) দুপুরে কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির আহ্বানে কুলাউড়া বাজারের ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন সুমন ও আব্দুল কাইয়ুম এর অর্থায়নে সেতু তৈরির কাজ শুরু হয়। ধীরে ধীরে কয়েকটি সামাজিক সংগঠনের সদস্যরাও এগিয়ে আসেন। পরে সেখানে এসে স্বেচ্ছাশ্রমে যুক্ত হয় উপজেলা স্কাউট ভলান্টিয়ার্স কুইক রেসপন্স টিমের সদস্যরা। তাদের ঐকান্তিক সহায়তায় নির্মিত হয় সেতুটি।

কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান জানান, বন্যার পানিতে এই উপজেলার অন্যতম স্বাস্থ্যসেবা এই প্রতিষ্ঠানটির সড়ক প্লাবিত হয়েছে। এতে করে দুর্ভোগে রয়েছে স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা। রাস্তা পার হতে হতে প্যাডেল চালিত রিকশার ব্যবস্থা থাকলেও অল্প জায়গায় জনপ্রতি ১০টাকা গুণতে হয় ভুক্তভোগীদের।

তিনি বলেন, মানুষের এই কষ্ট লাগবে আজ ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বান এই ভাসমান সেতু তৈরি করা হচ্ছে। এতে করে কিছুটা হলেও সহজ হবে যাতায়াত ব্যবস্থা।

বুধবার (২২ জুন) এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কুলাউড়া উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফেরদৌস আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, এই সেতুটি খুবই ভালো এবং সময়োপযোগী উদ্যোগ। আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রচুর রোগী ও তাদের স্বজনদের জন্য যথেষ্ট সুবিধা হয়েছে।  

শুক্রবার (১৭ জুন) থেকে আমাদের এদিকে ধীরে ধীরে পানি আসা শুরু হয়, আজ বুধবার তো হাঁটুপানি ছিল। এই স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত সেতুর ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত এই বন্যার যাতায়াত দুর্ভোগ লাঘব করে সেবা নিতে আসা রোগীদের অনেক সুবিধা হবে বলে জানান ডা. ফেরদৌস আক্তার।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২২
বিবিবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।