ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

কুমিল্লায় ৫০০ জনকে নিখরচে চিকিৎসা দিল বসুন্ধরা আই হসপিটাল ও ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০২ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০২২
কুমিল্লায় ৫০০ জনকে নিখরচে চিকিৎসা দিল বসুন্ধরা আই হসপিটাল ও ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশন

কুমিল্লা: পাঁচশ’ মানুষকে বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা দিয়েছে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশন।

শুক্রবার (০১ জুলাই) কুমিল্লার বুড়িচংয়ের শিকারপুর জামি’আ নূরে মুহাম্মদিয়া এতিমখানা কমপ্লেক্সে দিনভর চলে এ চিকিৎসা কার্যক্রম।

 

এর আগে ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিন বছরে সেখানে বিনামূল্যে আড়াই হাজার মানুষকে সেবা দেওয়া হয়।

এতিমখানা কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, শুধু কুমিল্লার মানুষ নয়; নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষও এই ক্যাম্পে আসেন সেবা নিতে। শুক্রবার ১০ জনের একটি বিশেষজ্ঞ টিম এই কমপ্লেক্সে সেবা দিতে আসেন। যার নেতৃত্বে ছিলেন বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ডা. মো. সালেহ আহম্মেদ।

নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা দুটি বুথসহ মোট চারটি বুথে রোগীদের সেবা দেওয়া হয়। দেওয়া হয় বিনামূল্যে চশমা ও ওষুধ। অপারেশনের দরকার হলে তাদের ঢাকায় নিয়ে বিনামূল্যে তা করাবে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশন। তাদের আনুষাঙ্গিক ব্যয়ভারও বহন করবে এই দুই প্রতিষ্ঠান।

ক্যাম্পে সেবা নিতে আসা মফিজুল ইসলাম জানান, আমার বয়স ৮৫ বছর। তিন বছর আগে থেকে চোখে সমস্যা অনুভব করি। এখানে এসে বিনামূল্যে ডাক্তার দেখাই। তারা ফ্রি অপারেশন করেন। এবার চোখে ব্যথা অনুভব করায় আবার এসেছি।

সাবিকুন্নাহার নামে এক গৃহিণী জানান, ডাক্তার দেখিয়েছি। তারা সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ওষুধ দিয়েছেন। সব সেবাই বিনামূল্যে পেয়েছি।

জামি’আ নূরে মুহাম্মদিয়া এতিমখানা কমপ্লেক্সের মুহতামিম জাকির হোসেন জানান, এই দুই প্রতিষ্ঠানের এমন উদ্যোগের কারণে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের অসংখ্য মানুষ উপকৃত হচ্ছে। সেবা কার্যক্রমের জন্য আমাদের প্রতিষ্ঠানকে বেছে নেওয়াতে আমরা আনন্দিত।  

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ডা. মো. সালেহ আহম্মেদ বলেন, শিকারপুর গ্রামের কৃতী সন্তান সাবেক সচিব আজিজুল হক ভূঁইয়া তার নিজ গ্রামে এমন  উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য আমাদের কাছে অনুরোধ করেন। আমরা তার আহ্বানে সাড়া দেই। যদি বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কোনো জায়গা থেকে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য আমাদের কাছে অনুরোধ করা হয় আমরা সেখানে পৌঁছে যাবো ইনশাআল্লাহ। আমি মনে করি, প্রতিটি স্বাবলম্বী মানুষেরই মানব সেবায় এগিয়ে আসা উচিত।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।