ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

করোনায় মারা যাওয়া বড় অংশ টিকা নেয়নি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২২
করোনায় মারা যাওয়া বড় অংশ টিকা নেয়নি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা: করোনায় যারা মারা যাওয়া বড় অংশ টিকা নেয়নি। অন্যদিকে প্রথম ডোজ যারা নিয়েছে তাদের মধ্যে মারা যাওয়ার হার কম।

যারা একাধিক ডোজ নিয়েছে তাদের অধিকাংশই নিরাপদ। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ থাকলে মানুষের বেপরোয়া (স্বাস্থ্যবিধি না মানা) আচরণে করোনা সংক্রমণ-মৃত্যু বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।  

সোমবার (১৮ জুলাই) রাজধানীর মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আগামী ১৯ জুলাই একদিনব্যাপী ক্যাম্পেইনে প্রায় ৭৫ লাখ মানুষকে করোনা টিকা কর্মসূচি উপলক্ষে এক ভিডিও কনফারেন্সে এ মন্তব্য করেন তিনি।  

সংক্রমণ ১৭ শতাংশে পৌঁছেছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মাস্ক পরছি না। ধর্মীয়-রাজনৈতিক-সামাজিক অনুষ্ঠান জমায়েত করছি বেশি করে। আগামী দিনে যেন সবাই মাস্ক পরি। বাস, ট্রেন, অফিস, আদালতে তেমন লক্ষণ (মাস্ক পরতে) দেখছি না। এজন্য মৃত্যু ও সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে।  

করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের সুনাম আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সুনাম আছে। বেপরোয়া হলে সুনাম থাকবে না।

৮ কোটি টিকা প্রয়োজন বুস্টারের জন্য, সেটা কীভাবে পাওয়া যাবে এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ফাইজার, অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও মর্ডানার থেকে অধিকাংশ টিকা পেয়েছি। এরা নতুন ৩ কোটি টিকা দেবে। তবে মজুদ টিকা প্রয়োগ করতে না পারলে নতুন টিকা পাওয়া অসম্ভব। কোভ্যাক্সের আওতায় বিনামূল্যে টিকা পাওয়া যাবে।  

আগামী ১৯ জুলাই একদিনব্যাপী অনুষ্ঠেয় এ ক্যাম্পেইনে প্রায় ৭৫ লাখ মানুষকে বুস্টার (তৃতীয়) ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ক্যাম্পেইন চলাকালে দেশের সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ইত্যাদির পাশাপাশি সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলাসমূহের ওয়ার্ড পর্যায়েও টিকা দেওয়া হবে।  

একদিনে প্রায় ৭৫ লাখ মানুষকে সুষ্ঠুভাবে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যে সারাদেশে প্রায় ১৬ হাজার ১৮১টি টিকাকেন্দ্রের (৬২৩টি স্থায়ী ও ১৫৫৫৮টি অস্থায়ী কেন্দ্র) ব্যবস্থা করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, ক্যাম্পেইনে একযোগে প্রায় ৩৩ হাজার ২৪৬ জন টিকাদান কর্মী ও ৪৯ হাজার ৮৬৯ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন।  

ক্যাম্পেইনে দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার চার মাস অতিবাহিত হয়েছে এ রূপ ১৮ বছর ও তদুর্ধ্ব জনগোষ্ঠী বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ ও প্রথম ডোজ পাওয়ার নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হবার পরও যারা দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেননি এ রূপ ১৮ বছর ও তদুর্ধ্ব জনগোষ্ঠী দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করতে পারবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২২
এনবি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।