ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

দেশের প্রথম সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের উদ্বোধন ২৮ আগস্ট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২০ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২২
দেশের প্রথম সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের উদ্বোধন ২৮ আগস্ট

ঢাকা: দেশের প্রথম সেন্টার বেইজড সুপার স্পেশালাইজড হাসাপাতালের উদ্বোধন আগামী ২৮ আগস্ট। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধীনে নির্মিত এ সুপার স্পেশালাইজড হাসাপাতাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে উদ্বোধন করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ-ব্লক মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ তথ্য জানান বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।  

পেডিয়াট্রিক হেমাটোলজি অ্যান্ড অনকোলজি বিভাগ ও মুভমেন্ট ফর থ্যালাসেমিয়া ইরাডিকেশন ইন বাংলাদেশ (এমটিইবি) যৌথভাবে আয়োজিত ‘থ্যালাসেমিয়া অ্যান ইমার্জিং ন্যাশনাল হেলথ ইস্যু: ওয়ে টু মিনিফাই’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে থ্যালাসেমিয়া গাইড বুক ও স্যুভেনির, ‘রক্তিম সাহারার আত্মকথা’ প্রকাশিত হয় এবং রোগীরা তাদের করুণ অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম তাঁর মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে সব ধরনের সহযোগীতার আশ্বাস দেন।  

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পুনবার্সন ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে প্রয়োজনে আইন করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, থ্যালাসেমিয়া একটি রক্তরোগ। বিয়ের আগের পাত্রপাত্রীর রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে তারা থ্যালাসেমিয়ার বাহক কিনা তা জানা সম্ভব।  রক্তের সঙ্গে সঙ্গে চোখেরও পরীক্ষা করা উচিত। পাত্রপাত্রী যদি উভয়ই চোখের মাইনাস পাওয়ারের হয় তবে তাদের সন্তানের চোখেও মাইনাস পাওয়ারের হবে। থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে ভর্তির সময় এবং  বিয়ের সময় কাজী অফিসে বর-কনের রক্ত পরীক্ষার উপর গুরুত্ব দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতুর অর্জনের মতো স্বাস্থ্যখাতে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালও দেশের জন্য একটি বিরাট অর্জন। যে জাতি বিশ্বব্যাংকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বাংলাদেশের প্রমত্ত পদ্মা নদীর উপর স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পারে সেই জাতি অবশ্যই থ্যালাসেমিয়া মুক্ত দেশ গড়তে পারবে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে অবশ্যই থ্যালাসেমিয়া মুক্ত করতে পারব।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ডা. মো. আব্দুল আজিজ, পেডিয়াট্রিক হেমাটোলজি অ্যান্ড অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ও এমটিইবির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এটিএম আতিকুর রহমান।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার,  বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, সাবেক উপ- উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২২
আরকেআর/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।