ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাশিফল

গলা দেখে যায় চেনা

জ্যোতিষী রুবাই | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৫
গলা দেখে যায় চেনা

গলায়-গলায় বন্ধুত্ব! কিন্তু হঠাৎই বন্ধুত্বে ফাটল। জানতে পারলেন আপনার প্রিয় বন্ধুটি আপনারই পেছনেই আপনার শত্রুতা করছে।

কিন্তু কীভাবে বুঝবেন আপনার সামনের মানুষটি ঠিক কেমন?

প্রাচীন সমুদ্র শাস্ত্রের একটি পন্থা বহু যুগ আগে থেকে নির্ধারিত। জানা যায়, অগুনতি মানুষের উপর গবেষণা করে পণ্ডিতরা এ পন্থা আবিষ্কার করেছিলেন। সেই সময়ের রাজা, সমাজের বিচক্ষণ ব্যক্তি এই সমুদ্র শাস্ত্রের বিধান অনুযায়ী মানুষের চরিত্র বিচার করতেন।

এমন কী কোনো ব্যক্তিকে খুব গোপন কোনো দায়িত্ব দেওয়ার আগে এই শাস্ত্রের পণ্ডিতদের মতামত নেওয়া হতো। শাস্ত্রের একটি অংশে বলা আছে, কীভাবে একজন মানুষের গলার আকার পর্যবেক্ষণ করে তার চরিত্র সম্পর্কে বোঝা যায়। ঠিক যেমন আমরা সাধারণভাবে মানুষের মুখ দেখে বুঝতে চেষ্টা করেন ওই মানুষটির মনের ভাব, ঠিক সেই ভাবেই। আসুন দেখা যাক প্রাচীন শাস্ত্রে ঠিক কি বলা আছে।

গলা দেখেও মানুষের স্বভাব বোঝা যায়, এমনটা শুনলে প্রথমে একটু অবাক হওয়ারই কথা। কিন্তু শাস্ত্র বলছে, গলার গঠনে লুকিয়ে রয়েছে মনুষ্য-স্বভাব। শুধু খুঁটিয়ে দেখতে জানতে হবে। যেমন, কোন মানুষ ধনী আর কে অর্থকষ্টে ভোগেন সবটাই বোঝা সম্ভব ঘাড়-গলার গড়নে। কিংবা কে বিশ্বাসী আর কোন মানুষ বিশ্বাস ভাঙতে পারে- এমনটাও জানায় ‘গলা’।

সমুদ্রশাস্ত্র অনুসারে, যার গলা যত বেশি লম্বা সে ততটাই ভোগ-বিলাসী। লম্বা গলার মানুষদের বিলাস-দ্রব্যের আকর্ষণ স্বভাবজাত। ঘন ঘন বিলাস সামগ্রী কেনা, বিলাসিতার পিছনে অর্থ খরচ এদের অন্যতম স্বভাব। দামি পোশাক, সুগন্ধির আকর্ষণ এরা এড়াতে পারে না।

লম্বা গলার মানুষরা অনেক সময় অর্থকষ্টে পড়েন। অর্থের প্রাচুর্য থাকলেও এরা অতিরিক্ত খরচ করে ফেলার ফলে সমস্যায় পড়েন।

আর গলার গড়ন তুলনায় ছোটো যাদের ভাগ্য সবসময় তাদের সহায় থাকে। এরা হিসেবি ধরনের মানুষ হন। বৈষয়িক বুদ্ধি প্রখর থাকে। সমাজে চালাক বলে মনে করা হয়। এদের মনের ভাব চেহারা দেখে অনুমান করা যায় না।

যাদের ঘাড়ে অর্থাৎ, গলার পিছনে স্নায়ু বা নার্ভ দেখা যায় তাদের বারবার অর্থকষ্টে ভুগতে হয়। ঘাড় যত সুঢৌল হবে ব্যক্তি ততটাই ধনবান হবেন। এদের চরিত্র হয় ঋজু ও এরা সোজা কথা সোজাভাবে বলতে পছন্দ করে।

কিছু মানুষের ঘাড় বাঁকা থাকে। সমুদ্রশাস্ত্রে বলা আছে, ঘাড় বাঁকা মানুষরা চালাক ও নিজের স্বার্থ ভালো করে বুঝে নেয়। তবে এদের ক্ষেত্রে একটি সমস্যা খুব বেশি থাকে। এমন বৈশিষ্ট্যের লোক একের কথা অন্যের কাছে ফাঁস করে দেয়। ফলে এরা যেমন অন্যের সমস্যার কারণ হয়ে ওঠে তেমনই নিজের জীবনেও সমস্যা ডেকে আনে।

বাংলাদেশ সময়: ০৬১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৫
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।