ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রথম সৌর বিদ্যুৎ স্টোরেজ হবে ত্রিপুরায়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০২৩
উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রথম সৌর বিদ্যুৎ স্টোরেজ হবে ত্রিপুরায় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন ত্রিপুরার বিদ্যুৎমন্ত্রী রতন লাল নাথ -বাংলানিউজ

আগরতলা (ত্রিপুরা, ভারত): উত্তরপূর্ব ভারতের প্রথম সৌর বিদ্যুৎ স্টোরেজ ত্রিপুরায় স্থাপনের পরিকল্পনা নিচ্ছে বিদ্যুৎ দপ্তর। রাজ্যের চাহিদার পাশাপাশি এই স্টোরেজ থেকে দূষণমুক্ত পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ বাংলাদেশের চাহিদা অনুসারে রপ্তানি করারও পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।

ত্রিপুরা সরকারের বিদ্যুৎমন্ত্রী রতন লাল নাথ শনিবার (১এপ্রিল) সন্ধ্যায়  এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন।

রাজধানী আগরতলার ক্যাপিটাল কমপ্লেক্স এলাকার সচিবালয়ের নিজ দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, তিনি দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিদ্যুৎ এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি মন্ত্রী আর. কে. সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে তিনি গত পাঁচ বছরের রাজ্যের বিদ্যুৎ খাতের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

ভূ-উষ্ণায়নের কথা চিন্তা করে সারা বিশ্ব এখন দূষণমুক্ত এবং বিকল্প জ্বালানির উৎসগুলিকে আরও বেশি করে ব্যবহারের পরিকল্পনা নিচ্ছে। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই ভারতও। সারা দেশজুড়ে বিকল্প জ্বালানি এবং পুন:নবীকরণযোগ্য শক্তি ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে। তাই ত্রিপুরা রাজ্যে স্বচ্ছ এবং দূষণমুক্ত পরিবেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। এই সময় তিনি উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রথম সৌর বিদ্যুৎ স্টোরেজ ত্রিপুরায় স্থাপনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন।

প্রাথমিক ভাবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দক্ষিণ জেলার সাব্রুম এলাকাকে নির্বাচন করা হয়েছে। কারণ এখানে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। এই অঞ্চলের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করে উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ বাংলাদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব হবে। এই প্রস্তাব শুনে মন্ত্রী আর. কে. সিং  কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ত্রিপুরার বিদ্যুৎ ও পুন:নবীকরণযোগ্য শক্তি পরিকাঠামো উন্নয়নে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা সম্প্রসারণে আশ্বস্ত করেছেন। সেই সঙ্গে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করার জন্য খুব দ্রুত কেন্দ্রীয় সরকারের একটি টিম রাজ্যে আসবে বলেও জানান মন্ত্রী রতন লাল নাথ।

তিনি জানান, শুধুমাত্র একটি সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করেই বসে থাকতে চায় না বিদ্যুৎ দপ্তর। ৫০০ গিগাহার্জ বিদ্যুৎ সৌরশক্তি থেকে উৎপাদন করার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।  

রাজ্যের অন্যান্য স্থানেও প্রচলিত বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে সৌর বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীলতা বৃদ্ধির বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকায় ৩৬০টি পরিবারকে সৌর বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে গ্রামীণ বাজার ও কৃষি ক্ষেত্রে সেচ পাম্প চালানোর জন্য সৌর বিদ্যুৎ কাজে লাগানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায়  প্রায় ১৭০০ টি কৃষি পাম্পকে সৌর বৈদ্যুতিক সংযোগ দেওয়া হয়েছে। ২৫ হাজারের বেশি রাস্তার আলো সৌর বিদ্যুতের সাহায্যে জ্বালানো হচ্ছে।

আগামী দিনে রাজ্যের আরও বিভিন্ন এলাকায় সৌর বিদ্যুতের মিনিগ্রিড তৈরি করে সাধারণ মানুষের বাড়িতে সংযোগ দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে রাজ্যের অন্যতম বড় ডুম্বুর জলাশয়ে ভাসমান সোলার প্যানেলের মাধ্যমে ১৩০মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনেরও লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়:১০৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০২৩
এসসিএন/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।