কলকাতা: ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনের ধাক্কায় দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
ট্রেনে আগুন লেগেছে ভেবে চালক মাঝপথে ট্রেন থামিয়ে দেন। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে। সঙ্গে সঙ্গে প্রাণে বাঁচতে কয়েকজন যাত্রীও আতঙ্কিত হয়ে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেন। সেই সময়েই পাশের লাইন দিয়ে আসা অন্য একটি ট্রেনের ধাক্কায় মুত্যু হয় দুজনের।
ভারতের পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, অঙ্গ এক্সপ্রেস নামে ট্রেনটিতে আগুন লাগার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
প্রাথমিক রিপোর্টে জানা যায়, বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে অঙ্গ এক্সপ্রেস যখন কালাঝারিয়া রেল স্টেশনের কাছে পৌঁছায় তখন ওই গাড়ির চালক দূরে রেললাইন থেকে ধুলা বা ধোঁয়ার মতো কিছু দেখেন। ড্রাইভারের সন্দেহ হয় লাইনে আগুন লেগেছে। স্বাভাবিকভাবেই আচমকা ট্রেন থামাতে বাধ্য হন তিনি। মুহূর্তের মধ্যে আগুন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে অঙ্গ এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে। প্রাণে বাঁচতে পাশের লাইনে ঝাঁপ দিতে থাকেন যাত্রীরা। এর মধ্যে উল্টো দিকে ওই লাইনে চলে আসে ঝাঁঝা-আসানসোল ইলেকট্রিক ট্রেন। আর তাতেই চাপা পড়ে অঙ্গ এক্সপ্রেসের যাত্রীরা।
জানা গেছে, ডাউন লাইন দিয়ে অঙ্গ এক্সপ্রেস ভাগলপুর থেকে বেঙ্গালোর যশবন্তপুর যাচ্ছিল। আপ লাইন দিয়ে অপর ট্রেনটি পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল থেকে বৈদ্যনাথধাম যাচ্ছিল।
জামতাড়ার সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট (এসডিএম) অনন্ত কুমার জানিয়েছেন, আগুনের খবরে ট্রেন থেকে নামা যাত্রীরা ভুল দিকের রেললাইনে হাঁটছিলেন। সেই সময়ই দুর্ঘটনা।
ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে রেল পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। মেডিকেল টিম ও অ্যাম্বুলেন্সও পৌঁছেছে। শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ, যদিও আলোর অভাবে শুরুতে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়েছিল। গুরুতর আহতদের ভর্তি করা হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে। লাশগুলিকেও উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং শনাক্তকরণের চেষ্টা চলছে।
এর আগে গত বছর ২ জুন ওড়িশার বালেশ্বর জেলার বাহাঙ্গা বাজার এলাকায় তিন ট্রেনের ভয়ংকর দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেটাই ছিল চলমান ট্রেন দুর্ঘটনার মধ্যে সবচেয়ে বড় খবর। হাওড়া শালিমার থেকে চেন্নাইগামী করমন্ডল এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এবং মালবাহী—এই তিন ট্রেনের ভয়ঙ্কর সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছিল তিন শতাধিক যাত্রীর।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪
ভিএস/এমজেএফ