ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ আষাঢ় ১৪৩১, ১৮ জুন ২০২৪, ১০ জিলহজ ১৪৪৫

ভারত

শুক্রবার থেকে পুনরায় বসছে কসবার সীমান্ত হাট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৯ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৪
শুক্রবার থেকে পুনরায় বসছে কসবার সীমান্ত হাট ফাইল ছবি

আগরতলা (ত্রিপুরা): আগামী শুক্রবার (১৪ জুন) থেকে ত্রিপুরার সিপাহীজলা জেলার কসবা এলাকায় ভারত-বাংলাদেশের ‘সীমান্ত হাট’ পুনরায় চালু হবে।

মঙ্গলবার (১১ জুন) ত্রিপুরা সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা মোবাইল ফোনে বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।

 

তিনি বলেন, কোভিড মহামারির জন্য দীর্ঘদিন এই সীমান্ত হাট বন্ধ ছিল। উভয় দেশের স্থানীয় বাসিন্দারা বেশ কিছু দিন ধরে আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন সীমান্ত হাট খুলে দেওয়ার জন্য। তাদের কথা চিন্তা করে উভয় দেশের সরকার হাট পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে উভয় দেশের সীমান্তবর্তী এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন।
 
মন্ত্রী জানান, ত্রিপুরার দক্ষিণ জেলার সাব্রুম এলাকায় ফেনী নদীর ওপর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যে মৈত্রী সেতু নির্মাণ করা হয়েছে তার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়ে গেলেও এখনো নিয়মিতভাবে যাত্রী ও পণ্য পারাপার শুরু করা যায়নি।  

এর কারণ হিসেবে তিনি জানান, মৈত্রী সেতুর পাশে ভারতীয় অংশে যে অত্যাধুনিক ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট (আইসিপি) নির্মাণ করা হয়েছে তার শেষ পর্যায়ের কিছু কাজ বাকি রয়েছে। এই কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য তৎপরতা শুরু করা হয়েছে। ভারতের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য কাজ  কিছুটা ধীরগতিতে হয়েছে। ওই চেকপোস্টের শেষ পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন করা এবং মৈত্রী সেতু পুরোপুরিভাবে চালু করার বিষয়ে একটি পর্যালোচনা বৈঠক ডাকা হয়েছে। এ সপ্তাহের বৈঠকে কাজগুলোর সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। তখন সাব্রুমের মৈত্রী সেতু দিয়ে যাত্রী এবং পণ্য পারাপারের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।
 
এই বিষয়ে ইন্দো-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স ত্রিপুরা চ্যাপ্টারের সাধারণ সম্পাদক সুজিত রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ত্রিপুরাসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের ব্যবসায়ীরা অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছেন মৈত্রী সেতু নিয়মিতভাবে চালু হওয়ার দিকে। কারণ মৈত্রী সেতু চালু হলে ভারতের অন্যান্য প্রান্ত থেকে জাহাজে করে পণ্য সামগ্রী সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে আসবে এবং চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সড়কপথে ত্রিপুরাসহ গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতে সহজেই পৌঁছে দেওয়া যাবে। এর ফলে একদিকে যেমন সময় কম লাগবে তেমনি খরচ অনেক কম হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৪
এসসিএন/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।