শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়াসহ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এবার ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসে কর্তব্যরত কর্মী সংখ্যা কমানো হচ্ছে। তবে ভারতীয় কূটনীতিকরা বাংলাদেশে অবস্থান করছেন এবং ভারতীয় দূতাবাস ও উপদূতাবাসগুলো খোলা রয়েছে।
ভারতের সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে এ খবর জানানো হয়েছে।
এএনআইয়ের বরাতে কলকাতার গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, ভারতীয় দূতাবাসের যেসব কর্মীর এখন বাংলাদেশে প্রয়োজন নেই, সেসব কর্মী ও তাদের পরিবারকে ভারতে ফেরানো হচ্ছে। যদিও ভারতে ফেরার বিষয়টি বাধ্যতামূলক নয়, নিজস্ব সিদ্ধান্তে কর্মীরা বাণিজ্যিক বিমানে ভারতে ফিরছেন।
ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাস ছাড়া বাংলাদেশের চারটি শহরে ভারতের উপদূতাবাস রয়েছে- চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট ও খুলনায়।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর মঙ্গলবার জানিয়েছেন, পদ্মাপারে অন্তত ১৯ হাজার ভারতীয় রয়েছেন। তাদের মধ্যে কেবল ভারতীয় শিক্ষার্থী রয়েছেন প্রায় ১০ হাজার। যদিও বাংলাদেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত মাসে কেন্দ্রের পরামর্শের পর তাদের অনেকেই ভারতে ফিরে এসেছেন।
সোমবার বাংলাদেশের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে এক সর্বদলীয় বৈঠকে বসেছিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর।
সূত্রের খবর, বাংলাদেশের পরিস্থিতির ওপর সর্বক্ষণ নজর রাখা হচ্ছে বলে বৈঠকে জানিয়েছেন তিনি। আশ্বস্ত করেছেন, সঠিক সময়ে ভারত সরকার সঠিক পদক্ষেপ নেবে।
প্রসঙ্গত, বুধবার সবাই এয়ার ইন্ডিয়ার এক বিশেষ বিমানে ঢাকা থেকে দিল্লিতে ফিরেছেন ২০৫ ভারতীয়। মঙ্গলবার দিল্লি থেকে ফাঁকা বিমানটি উড়ে যায় ঢাকার উদ্দেশে। প্রায় মধ্যরাতে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে এবং যাত্রীদের নিয়ে সকালে ফিরে আসে দিল্লিতে।
ভারতীয় বিমান সংস্থা সূত্রে খবর, বুধবার থেকে দিনে দুটি করে বিমান ঢাকা ও দিল্লি রুটে চলাচল করবে। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ভিস্তারা ও ইন্ডিগো সংস্থাও বাংলাদেশগামী বিমান পরিষেবা ফের চালু করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০২৪
এসএএইচ