ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

২৫শ বছরের ইতিহাসের জাদুঘরে বাজছে 'কারার ওই লৌহ কপাট'

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৯
২৫শ বছরের ইতিহাসের জাদুঘরে বাজছে 'কারার ওই লৌহ কপাট'

নয়াদিল্লি থেকে: ভারতের সংসদ পরিদর্শনের আনন্দ তখনো বাংলাদেশের তরুণ ডেলিগেটদের চোখে-মুখে। সেখান থেকে বেরিয়েই সমন্বয়করা ডেলিগেটদের নিয়ে ঢুকলেন সংসদের জাদুঘরে। আরে! এ যে সম্রাট আকবরের দীন-ই-এলাহী। আরেকটু এগিয়ে যেতেই, এবার যে ভাষণ শোনা যাচ্ছে, আরে! ইনিতো জওহরলাল নেহরু।

ভারতীয় গণতন্ত্রের ২৫০০ বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য সুরক্ষার জাদুঘরে ঢুকে প্রতি পদে পদে বিস্মিত হতে হলো ডেলিগেটদের। সবচেয়ে বেশি ছুঁয়ে গেছে জাদুঘরে বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা গান 'কারার ওই লৌহ কপাট' বাজতে শুনে।

কতো চেনা গান, বাজছে এই এখানে। বাংলাদেশ-ভারতের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের যে কথা বলা হয়, এর চেয়ে ভালো নজির আর কী হতে পারে।  

** ভারতের সংসদে বাংলাদেশের শতযুবা

নজরুলের এই গান চলছিল বিভিন্ন ভাষার দেশাত্মবোধক আরও ৫টি গানের সঙ্গে। এই গানগুলোই ঘুরেফিরে বাজানো হয় বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রের দেশটির সংসদ জাদুঘরে।

** মেঘের রাজ্যে মাথা উঁচিয়ে হঠাৎ হিমালয়

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন টু ইন্ডিয়ার সদস্যরা এই ইন্টারঅ্যাকটিভ মিউজিয়াম বা জাদুঘর পরিদর্শনের অনন্য সুযোগ পান। ঘুরে ঘুরে তারা জানলেন-দেখলেন, গোষ্ঠীবদ্ধ হয়ে বসবাসের প্রাচীন ভারত থেকে শুরু করে মোঘল সাম্রাজ্য হয়ে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সময়কার ভারত এবং স্বাধীনতা পরবর্তী বৃহত্তর গণতন্ত্রের ভারত হয়ে ওঠার ইতিহাসও। দেখতে পান যুগের পর যুগ ধরে ভারতীয় স্পিকারদের বিদেশি অতিথিদের দেওয়া বিভিন্ন ধাতুর, আকারের মূল্যবান উপহার সামগ্রীও।

** নয়াদিল্লি পৌঁছেছে বাংলাদেশের শতযুবা

কালের সাক্ষী কিছু মুহূর্ত কিংবা কিছু বস্তু প্রদর্শিত হচ্ছিলো আলোকচিত্রে, কিছু সাউন্ড-লাইট-ভিডিও অ্যানিমেশনে, কিছু বড় পর্দার প্রোজেক্টরে, কিছু ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে এবং কিছু অ্যানিম্যাট্রনিকসে।

** ভারতের পথে ১০০ ‘বাংলাদেশি-বন্ধু’ 

ভারতবর্ষের গণতন্ত্র ও মুক্তির আন্দোলনসহ এতদঞ্চলের আজকের সময়ে এসে দাঁড়ানোর পেছনের কারিগদের এভাবে জানার সুযোগে ডেলিগেটরা বারবার থমকে দাঁড়ালেও পরবর্তী গন্তব্যে যাওয়ার তাগাদায় বাড়াতেই হলো পা।

** ১০০ ‘বাংলাদেশি-বন্ধু’ ভারত যাচ্ছে বৃহস্পতিবার

জানা যায়, পার্লামেন্ট লাইব্রেরি বিল্ডিংয়ে অবস্থিত এই ইন্টারঅ্যাকটিভ জাদুঘর উদ্বোধন হয় ২০০৬ সালের ১৪ আগস্ট।  যদিও এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন আরও আগে।

জাদুঘর থেকে পা বাড়িয়ে ডেলিগেটরা সুযোগ পান সংসদ গ্রন্থাগার পরিদর্শনের। ভারতের সবচেয়ে বড় গ্রন্থাগার কলকাতায়, তারপর দ্বিতীয় বৃহৎ গ্রন্থাগার এই সংসদের। গ্রন্থাগারের বিশালতা এবং পরিসর সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হয় ডেলিগেটদের।  

** ভারত যাচ্ছে আরও ‘১০০ বাংলাদেশি-বন্ধু’​

লাইব্রেরি থেকে বেরিয়ে ডেলিগেটরা মধ্যাহ্নভোজ গ্রহণ করেন। এরপর তারা রওয়ানা দেন ইন্ডিয়া গেটের উদ্দেশে। নয়াদিল্লি তো বটেই, ভারতবর্ষেরও প্রতিনিধিত্ব করে যুদ্ধস্মৃতির যে মিনার।

বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৯
এইচএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।