ক্ষমতাসীন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, এটাই হওয়ার ছিল। বিজেপির প্রতি সাধারণ মানুষের নীরব সমর্থন আগেই বোঝা যাচ্ছিল।
এ ফলাফলে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিজেপি নেতা বলেন, ক্ষমতায় এলে কু-শাসনের অবসান ঘটিয়ে রাজ্যে সু-শাসন নিশ্চিত করবো।
রাজ্যের বিরোধী নেতারা এ বুথফেরত জরিপকে কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট বার্তায় লিখেছেন, বুথফেরত জরিপের এই আষাঢ়ে গল্প বিশ্বাস করি না। ইভিএম কারসাজি করার লক্ষ্যেই এ পদক্ষেপ।
দেশের সব বিরোধী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করার আবেদন জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তার দাবি, ভোটের চূড়ান্ত ফলের সঙ্গে এ বুথ বুথফেরত জরিপ মিলবে না।
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলছেন, এ বুথফেরত জরিপ মিলবে না।
একই সুর কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য প্রদীপ ভট্টাচার্যেরও। তিনি বলেন, তৃণমূলের সৌজন্যে এ রাজ্যে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত হয়েছে। তার প্রভাব ভোটের ফলাফলে সামান্য পড়বে। তবে বুথফেরত জরিপ অতিরঞ্জিত করে প্রকাশ করা হয়েছে।
জরিপের বিষয়ে সরব হয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও। তারও মত, এ ফলাফল সঠিক নয়।
তবে বিজেপি বলছে, কয়েক মাস আগে বিধানসভা ভোটে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেস ভালো করেছিল ও বিজেপি ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিল। তখন জনমত জরিপেও সে কথাই বলা হয়েছিল। মমতাসহ বিরোধীরা ওই ফলকে সাধুবাদ জনিয়েছিলেন। এখন ফলাফল পক্ষে যায়নি বলেই ইভিএম কারসাজি, অতিব্যঞ্জনের কথা বলা হচ্ছে।
এদিকে, জরিপের ফলাফলকে পাত্তা না দিয়ে ১৭তম লোকসভা গঠনের লক্ষ্যে বিরোধীদের নিয়ে তৎপরতা শুরু করে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জরিপের ফল বদলাবে, এ বিষয়ে আত্মপ্রত্যয়ী তৃণমূল নেত্রী। ভোট শেষ হওয়ার পরপরই দেশের বিভিন্ন নেতার সঙ্গে ফোনালাপ সেরেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২১ মে) তৃণমূলসহ দেশের ২১টি বিরোধী দল দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেছে। পাশাপাশি গত সোমবার অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু কলকাতার কালীঘাটে মমতার বাসভবনে আলোচনায় বসেছিলেন।
এছাড়াও সমাজবাদী পার্টির শীর্ষ নেতা অখিলেশ যাদব, এনসিপি নেতা প্রফুল্ল প্যাটেলসহ বিভিন্ন নেতা মমতাকে ফোন করেছেন বলে জানা গেছে।
অপরদিকে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট একপ্রকার নিশ্চিত, তারাই আবার ক্ষমতায় আসছে। মঙ্গলবার (২১মে) নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে নৈশভোজের আয়োজন করেছে তারা।
সব জল্পনা-কল্পনা শেষ হবে আগামী বৃহস্পতিবার (২৩ মে)। ওইদিন ১৭তম লোকসভা নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে। এদিনই বোঝা যাবে দিল্লি কার দখলে থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৯
একে