ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

‘বিদ্যাসাগর পুরস্কার’ পেলেন সৈয়দ আবুল হোসেন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৯
‘বিদ্যাসাগর পুরস্কার’ পেলেন সৈয়দ আবুল হোসেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর রঞ্জন চক্রবর্তীর হাত থেকে পদক গ্রহণ করছেন সৈয়দ আবুল হোসেন।

কলকাতা: বাংলা বর্ণপরিচয়ের জনক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকীর দিন ছিল বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টম্বর)। এ উপলক্ষে মেদিনীপুর জেলায় বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিক্ষাদ্যোক্তা ও সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ‘বিদ্যাসাগর পুরস্কার’ পেয়েছেন।

বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান ও নারীশিক্ষা প্রসারে বিশেষ অবদান রাখার জন্য তাকে ওই পদক দেওয়া হয়।

এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে সৈয়দ আবুল হোসেনের হাতে ওই পদক তুলে দেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর রঞ্জন চক্রবর্তী।

এ সময় ভাইস-চ্যান্সেলর বলেন, একক প্রচেষ্টায় সৈয়দ আবুল হোসেনে বাংলাদেশে যতগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়েছেন তা পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন। বাংলাদেশের শিক্ষাবিস্তারে অনন্য অবদানের জন্য তাকে ‘বাংলাদেশের বিদ্যাসাগর’ হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।  

উল্লেখ্য বিষয় হলো সৈয়দ আবুল হোসেন, নিজ এলাকার নিজস্ব অর্থায়নে ছয়টি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন। এরমধ্যে চারটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। অসংখ্য মাধ্যমিক বিদ্যালয় গড়ে তুলেছেন তিনি। প্রায় দেড়শটির অধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেছেন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ায় সহায়তা করেছেন। শিক্ষাবিস্তার ও সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ইতোমধ্যে সৈয়দ আবুল হোসেন ২২টি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। একজন লেখক হিসেবে তার ২০টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।

পদক গ্রহণের পর সৈয়দ আবুল হোসেন বলেন, এ পুরস্কার শিক্ষা প্রসার এবং সমাজকে সত্য ও সুন্দরের পথে এগিয়ে নিতে আমাকে আরও উৎসাহিত করবে। বিদ্যাসাগর আমার স্বপ্নের পুরুষ এবং আমার জীবনে একজন আদর্শিক মানুষ। তাই বিদ্যাসাগরের ২০০তম জন্মবার্ষিকীতে তার নাম প্রবর্তিত ‘বিদ্যাসাগর পুরস্কার’ পাওয়া আমার জন্য গর্বের।

আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সৈয়দ আবুল হোসেন বলেন, আমার এলাকার শিক্ষাবিস্তারে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ছিল আমার প্রেরণা। আমার এলাকায় বর্তমানে বাংলাদেশের শিক্ষার উন্নয়ন রোল মডেল হিসেবে পরিচিত।

বাংলাদেশ-ভারত দু’প্রতিবেশী দেশের বিষয়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধান শত্রু দারিদ্রতা ও সাম্প্রদায়িকতা। উভয়দেশের সম্মিলিত চেষ্টায় আমরা অঞ্চলের দারিদ্র ও সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প দূর করতে পারি।

শিক্ষকদের এই বিষয়ে জনগণদের সচেতন করার উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর সব্যসাচী বসু রায় চৌধুরী এবং বাংলাদেশ উপ দূতাবাসের প্রধান তৌফিক হাসানসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

সমাজে নিজ নিজ অবদানের জন্য আরও পাঁচ বিশিষ্টজনকে এই সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। তারা হলেন- ড. হরিপদ মণ্ডল, ড. অমিয় কুমার সামন্ত, অধ্যাপক চিত্তব্রত পালিত, অধ্যাপক নৃশিংহ প্রসাদ ভাদুরি ও অধ্যাপক দিলীপ কুমার সিনহা।

অনুষ্ঠানে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত ‘বিদ্যাসাগরে রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড’ এবং সৈয়দ আবুল হোসেনের লিখিত ‘বিদ্যাসাগর’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯
ভিএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।