মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলায় এক সভায় নিজের এ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
এর আগে শনিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
দিল্লি বিধানসভার এ নির্বাচনে আক্ষরিক অর্থেই ধরাশায়ী হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। পাশাপশি খাতাই খুলতে পারল না কংগ্রেস। মোট ৭০টি আসনের মধ্যে ৬৩টি আসন আম আদমির দখলে। মাত্র সাতটি আসন ধরে রাখতে পেরেছে বিজেপি। নির্বাচনে ৫৪ দশমিক তিন শতাংশ ভোট পেয়েছে আপ। অপরদিকে বিজেপি মোট ভোটের ৩২ দশমিক তিন শতাংশ ও কংগ্রেস নয় দশমিক সাত শতাংশ ভোট পেয়েছে। তবে সরকারিভাবে এখনো ফল ঘোষণা করা হয়নি।
বিজেপিকে হারিয়ে আপের এ জয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশের পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘পশ্চিমবাংলাকে দায়িত্ব নিতে হবে সারা ভারতবর্ষে যাতে কেউ আগুন না লাগাতে পারে। অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানালাম। দিল্লিতে বিজেপি একেবারে ঘুরির সুতোর মত ভোকাট্টা হয়ে গিয়েছে। সব রাজ্য থেকে চলে যাচ্ছে এই সাম্প্রদায়িক দল। ২০২১ পশ্চিমবাংলায় বিধানসভা ভোটের মধ্য দিয়ে শেষ কলসি ডোবাব আমরা। ’
এর আগে ২০১৯ লোকসভা ভোটের আগে অবিজেপি দলগুলিকে একত্রিত করে দিল্লি জয়ের লক্ষ্যে ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। ১৯ জানুয়ারি কলকাতার ব্রিগেডে হয়েছিল ইউনাইটেড ইন্ডিয়া র্যালি। কিন্তু, তারপরও লোকসভা ভোটের ফলাফল গিয়েছিল বিজেপির ঝুলিতে।
কিন্তু এবার সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস হতেই পথে নেমে প্রতিবাদ জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের জায়গায় জায়গায় পদযাত্রা করেন। শুধু রাজ্য নয়, সিএএ, এনআরসি’র বিরুদ্ধে দেশজুড়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক দেন তিনি। বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়ার ডাক দেন। মঙ্গলবার দিল্লিতে আপের জয়ে তাই স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত ও আরও আত্মবিশ্বাসী হলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০
ভিএস/এবি