একইসঙ্গে ভারতের নাগরিকত্ব তালিকা (এনআরসি) ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বাংলাদেশে কোনো ধরনের প্রভাব ফেলবে না বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে।
সোমবার (০২ মার্চ) কলকাতার সভায় ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শুধু এ ইঙ্গিতই দেননি, বলেছেনও, ভারতীয় মুসলিমদের সংশোধিত নাগরিকত্ব নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণই নেই।
এর আগে সোমবারই মোদীর সফর সামনে রেখে ঢাকায় এসে দেশটির পররাষ্ট্রসচিব হর্ষবর্ধন শ্রীংলাও এ বিষয়ে বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেছেন। বলেছেন, ভারতের এনআরসি নিয়ে বাংলাদেশের চিন্তার কোনো কারণ নেই। এনআরসি কিংবা সিএএ উভয় প্রক্রিয়াই ভারতের অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক পদ্ধতি। তা নিয়ে বাংলাদেশের ওপর প্রভাব পড়ার কোনো আশঙ্কা নেই।
গত বছরের ডিসেম্বরে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে গোটা ভারতে শুরু হয় সংশয়, তুমুল প্রতিবাদ বিক্ষোভ-আন্দোলন। যে সময়ের মধ্যে দিল্লি সফর বাতিল করে দিয়েছিল বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল। এমনকি আসামে এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পরও বাংলাদেশ সরকার এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিল।
যদিও তখনও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিবৃতি জারি করে বলেছিলেন, এনআরসি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
তবে এ নিয়ে প্রশ্নের কারণ স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তৈরি করেছিলেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তব্যে হঠাৎই তিনি বলেছিলেন, 'অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে তাড়ানো হবে'। বিশেষ করে আঙুল তুলছিলেন, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, মেঘালয়ের মতো রাজ্যগুলোর ওপর।
এছাড়া তার কথায় বারবার উঠে এসেছিল ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী' শব্দ। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষও প্রকাশ্যে বলছিলেন, দুই কোটি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী আছে ভারতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২০
বিএস/টিএ