রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্ন থেকে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, লকডাউন ভাঙা যাবে না। এটা বাড়ছে।
এপরপর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, লকডাউন হয়তো থাকবে। কিন্তু মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে কী করে সেটাকে পালন করা যায়, সবার কথা ভেবে সেটা আমাদের ভাবতে হবে। ১৫ তারিখের পর লকডাউন মনে হয় বাড়বে। সেটা কেন্দ্রীয় সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে, আমরা সেক্ষেত্রে সহযোগিতা করে চলবো।
লকডাউন বাড়বে কিনা বা কতটা বাড়বে তা বোঝা যাবে শনিবার (১১ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণে।
তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে আরও কয়েকটি পদক্ষেপ এদিন নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি বলেন, জরুরিভিত্তিতে পণ্য সরবরাহের স্বার্থে রাজ্যে আংশিক পরিবহনে ছাড় দেওয়া হলো। হোম ডেলিভারির জন্য সরকারি কিছু ট্যাক্সি নামানো হবে রাস্তায়। নির্দিষ্ট জায়গা থেকে ২ থেকে ৩ জনকে তোলা হবে ট্যাক্সিতে। ফোন মারফত যোগাযোগ করা যাবে।
এছাড়া চা বাগানের ১৫ শতাংশ শ্রমিককে কাজের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তবে মালিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, স্যানিটাইজেশন করে কাজ করতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্প ব্যবসায়ীদের কাপড়ের মাস্ক বানানোর জন্য ছাড় দেওয়া হলো।
পাশাপাশি রাজ্যের শিল্প সংস্থাগুলোকে এক একটি বাজারের দায়িত্ব দেওয়ার আবেদন জানান তিনি।
মমতা আরো বলেন, রাজ্যে করোনা আক্রান্ত মোট ৮৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা মুক্ত হয়েছেন তিনজন। এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি ৮০ জন। রাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৫।
এছাড়া ভারতের নিরিখে অক্রান্ত ৫ হজার ৮৬৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৬৯ জনের।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০২০
ভিএস/এএ