ভারতে ২৫ মার্চ থেকে লকডাউন ঘোষণা হতেই বড়বাজারে শুরু হয়ে গিয়েছিল বেটিং। ১৪ এপ্রিলের পর কতদিন চলবে লকডাউন? গোটা এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন চলবে কি-না? তা নিয়ে দিন তিনেক আগেও দোলাচলে ছিলেন জুয়াড়িরা।
গোটা বড়বাজার এলাকা প্রায় বন্ধ বললেই চলে। অর্থাৎ সেই কলরব এখন নেই। জুয়াড়িরা বাড়িতে বসেই চালাচ্ছেন চক্র। এখানে সবচেয়ে বেশি বেটিং চলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টুর্নামেন্টগুলো কেন্দ্র করে। তবে সব খেলায় ভারত অংশগ্রহণ করতে হবে এমনটা নয়। যদিও যেসব টুর্নামেন্ট বা সিরিজে ভারত অংশ নেয়, সেগুলোতে সবচেয়ে বেশি ব্যস্ততা থাকে জুয়াড়িদের। এছাড়া বেটিং চলে ফুটবলসহ অন্যান্য খেলার ফলাফল নিয়েও।
আবার দেশে ভোট এলে তো কথাই নেই। কোন দল জিতবে, কোন প্রার্থী পরবেন জয়ের মালা, কতটা থাকতে পারে জয়ের ব্যবধান। তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে বাজি ধরতে লাখ লাখ অর্থ সঙ্গে করে মাঠে নেমে পড়েন এখানের জুয়াড়িরা।
এখন তেমন কোনো ইস্যু না থাকায় ঝিমিয়ে পড়ছিলেন তারা। না আছে কোনো খেলা, না আছে অন্য কোনো বিষয়। তবে বেটিংয়ের ঝাঁজ আবার ফিরে এসেছে এই লকডাউন কেন্দ্র করে।
এক জুয়াড়ির কথায়, গত রোববার পর্যন্ত প্রতি ১০ রুপিতে সাত রুপি দর লেগেছিল এপ্রিল নিয়ে। বিষয়, ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার যে লকডাউন ঘোষণা করেছে, তা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে কি-না? যারা সেই বাজিতে জিতেছেন, তারা ১৭ রুপি উপার্জন করেছেন। কিন্তু এখন সেই ছবি একেবারেই বদলে গেছে। এপ্রিল পর্যন্ত দেশজুড়ে লকডাউন চলবে, এ বিষয়ে মোটামুটি স্পষ্ট ধারণা হয়ে গেছে জুয়াড়িদের।
তবে লকডাউনের মেয়াদ বাড়বে কি-না, এমন ঘোষণা এখনও সরকারিভাবে হয়নি। তাই শুক্রবার (১০ এপ্রিল) লকডাউন নিয়ে ১০ রুপিতে দুই রুপি দর লাগাচ্ছেন জুয়াড়িরা। তাদের কথায়, ভবিষ্যতে যে ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বেশি, তাতে বেশি অর্থ বাজি ধরে না কেউই। সে কারণেই রোববারের পর থেকে পুরো বদলে গেছে জুয়ার দর।
তাই বেটিং মাস্টাররা জানাচ্ছেন, তাদের নজর এখন মে মাসের দিকে। ওই মাসের প্রথম সপ্তাহেও কী লকডাউন চলবে? মে মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত লকডাউন হবে কি-না, এই মর্মে ১০ রুপিতে আট রুপি বাজি ধরা চলছে।
আর তা যদি মে মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত গড়ায়, তহালে ১০ বদলে বাড়তি ১০ ইনকাম। অর্থাৎ যত রিস্ক তত ইনকাম। এ নিয়েই মজে আছেন তারা। তবে তাদের রুলস অ্যান্ড রেগুলেশনে নীতিগতভাবে বাদ রেখেছেন করোনা আক্রান্ত বা মৃত্যু নিয়ে বাজি ধরা।
ইতোমধ্যে উড়িষ্যা এককভাবে রাজ্যজুড়ে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা দিয়ে বসেছে। বাকি এবার কেন্দ্রের। এছাড়া সর্বশেষ খবর পর্যন্ত ভারতে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ছয় হাজার ৪১২ জন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৯৯ জনের।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২০
ভিএস/টিএ