বুধবার (২৯ এপ্রিল) রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি নিজেই।
পশ্চিমবঙ্গের তিনটি ভাগ বা জোনের মধ্যে রেড জোন একটি।
অবশ্য এ হিসেবে কলকাতায় লকডাউন বহাল থাকবে বলেই বোঝা যাচ্ছে। কারণ রাজ্যে রেড জোন হিসেবে কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও পুর্ব মেদিনীপুর জেলা চিহ্নিত করা হয়েছে। আর গ্রিন জোনে আছে বাকুড়া, ঝাড়গ্রাম, মালদহ, দক্ষিণ ও উত্তর দিনাজপুর, পুরুলিয়া, বীরভুম, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার।
গ্রিন জোনভুক্ত এলাকায় চালু হচ্ছে বাস পরিবহন সেবাও। অবশ্য ২০ জনের বেশি তোলা যাবে না বাসে। এছাড়া এসব এলাকায় বেশকিছু দোকান খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পাশাপাশি কলকাতার জেলার কয়েকটি গ্রিন ও অরেঞ্জ জোনে ট্য়াক্সি পরিষেবা চালুর কথাও ঘোষণা করেছে মমতা সরকার।
এছাড়া রাজ্যে লকডাউনও কিছু শিথিল করা হচ্ছে ০৪ মে থেকে। সেখানে বলা হয়েছে, পাড়ার ছোট ছোট দোকান খুলবে। স্টেশনারি দোকান, বইয়ের দোকান, রঙের দোকান খুলবে। খুলবে ইলেকট্রনিক্সের দোকান, মোবাইলের দোকান, ব্য়াটারি চার্জের দোকানও। হার্ডওয়্যারের দোকান খুলবে। খুলবে লন্ড্রি। এমনকি খোলা হচ্ছে চা ও পানের দোকানও। তবে চায়ের দোকানে আড্ডা মারা যাবে না। চা কিনে খেতে হবে বাসায়। তবে এসব বিষয়ে পুলিশ অঞ্চল বুঝে সিদ্ধান্ত নেবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া গ্রিন জোনভুক্ত এলাকায় কারখানা খুলবে। তবে কারখানাগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে শ্রমিকদের রাখার ব্যবস্থা করতে হবে কারখানাতেই। তবেই খোলা যাবে কারখানা। সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
তবে গ্রিন জোনভুক্ত এলাকার মধ্যেই চলাচল করবে বাস। এলাকার বাইরে যাওয়া যাবে না।
এদিকে, এখনই রাজ্যে কোথাও খুলবে না ফুটপাতের মার্কেট, মার্কেট কমপ্লেক্সে বা শপিংমল। সেলুন খোলার ব্য়াপারেও পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২০
ভিএস/টিএ