ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

দেশ বাঁচাতে ‘সবার জন্য খাদ্য’ নিশ্চিতের দাবি অভিজিতের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৭ ঘণ্টা, মে ৬, ২০২০
দেশ বাঁচাতে ‘সবার জন্য খাদ্য’ নিশ্চিতের দাবি অভিজিতের

কলকাতা: করোনা মোকাবিলায় বর্তমান পরিস্থিতিতে ‘সবার জন্য খাদ্য’ সুনিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা মোকাবিলায় ভারতের রাজ্যগুলোর হাতে অর্থ দেওয়ার পাশাপাশি আমেরিকা, ইউরোপ ও পশ্চিমা দেশগুলোর মতো সহযোগী প্যাকেজ দেওয়ার প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।

মানুষের হাতে অর্থের জোগান দিয়ে দ্রুত ক্রয় ক্ষমতা বাড়ানো ছাড়া লকডাউন পরবর্তী ভারতের অর্থনীতি চাঙ্গা করা কঠিন বলেও মনে করেন তিনি।

মঙ্গলবার (৫ মে) অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অনলাইন আলাপচারিতায় অংশ নেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

সেখানেই অভিজিত বন্দ্যোপাধ্যায় এসব বলেন।

তিনি বলেন, ভারতে অনেকেরই রেশন কার্ড নেই। আবার সবারই যে আধার লিঙ্ক হয়েছে এমন নয়। ফলে যেকোনও রাজ্যে যে কেউ রেশন নিতেও পারছেন না। তাই এ সময়ে সবাইকে খাদ্য তুলে দিতে অন্তত তিন মাসের জন্য অস্থায়ী রেশন কার্ড দেওয়া হোক।

তিনি আরও বলেন, দেশে যথেষ্ট খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। তাই বিপদের এ সময়ে সবাইকে চাল, গম, ডাল দেওয়া দরকার। এছাড়া ক্ষুদ্র শিল্পের ক্ষেত্রে অন্তত তিন মাসের জন্য সুদ মওকুফ করে দেওয়া উচিত এবং গরিবদের হাতে ১০ হাজার রুপি করে দিয়ে তাদের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ানোর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ।

তার মতে করোনা মোকাবিলায় ভারতজুড়ে লকডাউনের জেরে দেশে গরিবি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। টানা ছয় সপ্তাহ দোকান বন্ধ থাকায় অধিকাংশ ছোট ব্যবসায়ী পথে বসে যাবে। তাই ভারতের ৬০ শতাংশ গরিব মানুষের হাতে সরকারের পক্ষ থেকে অবিলম্বে কিছু অর্থ দেওয়ার দরকার।

অভিজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে এ কঠিন সময়ে বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালাতে রাজ্যগুলোকে টাকা দেওয়া উচিত কেন্দ্র সরকারের। অনেক ক্ষেত্রে হয়তো চুরি হতে পারে। তা সত্ত্বেও হাত গুটিয়ে বসে থাকলে ভুল হবে। ঝুঁকি নিতেই হবে। যাবতীয় বিষয়ের কেন্দ্রীকরণ না করে রাজ্য ও জেলাগুলোকেও সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার দিতে হবে বলেই নোবেলজয়ীর মত।

তবে সবার আগে এ পরিস্থিতিতে ‘সবার জন্য খাদ্য’ সুনিশ্চিত করতে হবে এবং তা করতে হবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মিলে। একে অপরকে দোষারোপ করার সময় এটা নয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩০ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০২০
ভিএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।