কেউ বলেছেন, করোনা কেসের সংখ্যা বাড়ছে। ট্রেন-বিমান চালু হলে বিপদ বাড়বে।
তবে বৈঠক শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোন মোকাবিলায় কেন্দ্রের আচরণে তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, এটা রাজনীতি করার সময় নয়। করোনা মোকাবিলার নামে রাজনীতি হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র পরিকাঠামো ভাঙবেন না।
পাশাপাশি করোনা আতঙ্কের মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিতেই মমতার ভাইপো তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলাদেশ থেকে একটিও করোনা কেস এলে, তার দায় কে নেবে? কেন্দ্র? কেন্দ্র দ্বিচারিতা করছে, একদিকে এনআরসির নাম করে প্রধানমন্ত্রী বলছেন, পশ্চিমবঙ্গে সব অনুপ্রবেশকারী ঢুকে গিয়েছে আর অন্যদিকে এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বলছেন সীমান্ত খুলে দিতে হবে।
অভিষেক আরও বলেন, করোনা হেঁটে দেশে ঢোকেনি। প্লেনে চড়ে এসেছে। সব জানা সত্ত্বেও আগে কেন বন্ধ করে দেওয়া হয়নি আন্তর্জাতিক উড়োজাহাজ চলাচল?
তবে করোনা সংক্রমণ রুখতে গত ২৪ মার্চ দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছিল ভারত সরকার। বন্ধ করে দেওয়া হয় দেশের প্রত্যেকটি সীমান্তও। সাময়িক বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটানে পণ্য চলাচলেও স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছিল।
কিন্তু গত ২৪ এপ্রিল কেন্দ্রীয় সরকার সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোকে সীমান্ত খুলে দেওয়ার নির্দেশিকা জারি করে। যেন নিত্যপ্রয়োজনীয় এবং অত্যাবশ্যকীয় পণ্য প্রতিবেশী রাজ্যগুলোতে পাঠানো যায়। চিঠিতে বলা হয়, সীমান্ত না খুললে, প্রতিবেশী রাজ্যগুলোর সঙ্গে যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তি আছে, তা লঙ্ঘিত হবে।
ফলে সীমান্ত খুলে দেওয়া নিয়ে কয়েকদিন ধরেই কেন্দ্র ও রাজ্য টানাপোড়েন চলছিল।
এরপর এদিন সীমান্ত খুলে দেওয়ার প্রস্তাবে সবুজ সংকেত দিতেই মমতা সরকার তীব্র সমালোচনা করেন।
এ নিয়ে বিরোধীদের মত এর আগেও ডেঙ্গু নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। নিজের ব্যর্থতা ঢাকতেই এ সব বলছেন মমতা সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৩ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২০
ভিএস/এইচএডি