ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

২০ লাখ কোটির আর্থিক প্যাকেজ মোদীর, বাড়তে পারে লকডাউন 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৮ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২০
২০ লাখ কোটির আর্থিক প্যাকেজ মোদীর, বাড়তে পারে লকডাউন 

কলকাতা: করোনা মোকাবিলায় ভারতে চতুর্থ দফায় লকডাউন বাড়তে পারে। রাজ্যগুলোর সঙ্গে কথা বলে চতুর্থ লকডাউনের নিয়মাবলী জানানো হবে ১৮ মের আগেই। পাশাপাশি ঘোষণা করলেন ২০ লাখ কোটি টাকার আর্থিক প্রণোদনা।

মঙ্গলবার (১২ মে) রাতে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে এ তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

প্রধানমন্ত্রী বললেন, এই আর্থিক প্যাকেজ আত্মনির্ভর ভারতের কাজ করবে।

২০ লাখ কোটি রুপি অর্থ, দেশের জিডিপির প্রায় ১০ শতাংশের সমান।

‘এই প্যাকেজ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য। সংগঠিত, অসংগঠিত সব শ্রেণির মানুষের জন্য এই প্যাকেজ। জমি, শ্রম, নগদের জোগানের জন্য এই প্যাকেজ। অর্থমন্ত্রী বুধবার (১৩ মে) থেকে ধাপে ধাপে বিস্তারিত জানাবেন আর্থিক প্যাকেজ সমন্ধে। ’

এদিন জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে মোদী আরও বলেন, ভারত বর্তমানে পাঁচটি পিলারের উপর দাঁড়িয়ে। অর্থনীতি, পরিকাঠামো, সিস্টেম, চাহিদা, ডেমোগ্রাফি। এমন সংকট ভারত আগে দেখিনি। এই সংকট থেকে আমাদের মুক্তি পেতেই হবে। নিয়ম মেনে এই ভাইরাসের কবল থেকে আমাদের রক্ষা করতে হবে।

‘করোনা পরিস্থিতি ভারতকে আত্মনির্ভর হতে শেখাচ্ছে। আমাদের সংকল্প আত্মনির্ভর ভারত। তাই টোয়েন্টি টোয়েন্টিতে (২০২০) ২০ লাখ কোটির রুপির আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করা হলো। ’  

তবে এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্ন থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, এখনই করোনা যাবে বলে মনে হয় না। ফলে লকডাউন চলবে কড়াভাবে, কিন্তু লকডাউনের মধ্যে কাজও চলবে। আগামী ৩ মাসের জন্য স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা করা হয়েছে।

আগামী দিনে করোনা পরিস্থিতিত নিয়ে মমতা বলেন,  রেড জোনের মধ্যেও তিনটি ভাগ করা হবে। রেড জোন এ, রেড জোন বি ও রেড জোন সি। রেড জোন এ এলাকাগুলিতে কোনো ছাড় নয়। রেড জোন বি এলাকায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে। রেড জোন সি এলাকা হলো কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে ব্যারিকেড দেওয়া অংশে কিছু কিছু খোলা দোকান হবে। তবে সম্পূর্ণটাই পুলিশ দেখবে।

মুখ্য়মন্ত্রী আরও জানান, সকাল ৬টা থেকে ১২টা পর্যন্ত দোকান খোলা থাকবে। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে।

সবশেষ খবর রাজ্যে করোনায় সক্রিয় ১ হাজার ৩৭৪ কেস, মৃত্যু ১১৮ ও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেনে ৪৯৯ জন। এছাড়া ভারতের নিরিখে আক্রান্ত ৭০ হাজার ৭৫৬ এবং মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ২৯৩ জনের।

বাংলাদেশ সময়: ২২২৫ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২০
ভিএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।