তবে রাজ্যে ৫ম দফার লকডাউন শিথিল হয়ে যাওয়ায় হাটগুলিকে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। কারণ হাটের পাইকারি বাজারগুলো ছড়িয়ে যেতে, সেগুলো চালাতে গিয়ে নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
হাটগুলি পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা ইতোমধ্যে রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্নের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করছেন। মঙ্গলবার (২৩ জুন) ঠিক হয়েছে, হাটগুলির পরিস্থিতি পরিদর্শন করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গ্রামীণ হাটগুলিতে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত সবজি নিয়ে আসেন ওইসব হাটে। পাইকারি সবজি ব্যবসায়ীরা সেসব সবজি সেখানে কিনতে আসেন হাটগুলো থেকে। কেনাবেচার সময় ব্যাপক ভিড় হয় হাটগুলিতে।
ভিড় কমানোর জন্য একটি হাটকে দুটি, এমনকি তিনটি জায়গায় বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এরমধ্যে আছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ, নদীয়ার মতো হাটগুলো। ওই জেলার হাবড়ার গোবরডাঙার হাটটি তিনদিন বসতো। ভিড় কমাতে সেখানে পাঁচদিন হাট বসানো হচ্ছে। বাগদায় তো বিকল্প জায়গা না পাওয়া যাওয়ায় হাট ভাঙা যায়নি। ওই হাটটি বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে অবস্থিত।
তবে বনগাঁর বিকল্প হাটটি বেশ দূরে। ফলে দু’টি অংশের মধ্যে সমন্বয় রেখে কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়া গ্ৰামীণ হাটগুলিতে নিলামের মাধ্যমে সবজি বেচাকেনা হয়। আলাদা জায়গায় হাট বসার ফলে অনেক সময় নিলামের দামের সঙ্গতি থাকছে না। একই হাটে একরকম সবজির দাম কমবেশি হয়ে যাওয়ায় জটিলতা তৈরি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৪ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২০
ভিএস /এমএইচএম